সারমর্ম: এক সরকারি কোয়ার্টারে ঘটে যাওয়া ভৌতিক ঘটনা যাকে কিছুটা এড়িয়ে যাওয়া গেছে কিন্তু পুরোপুরি নিঃশেষ করা যায়নি। মোট- ৫ পৃষ্ঠা
তখনও স্কুলের গণ্ডি পার হইনি। বাবা রংপুর থেকে নোয়াখালিতে
বদলি হচ্ছেন। স্কুল জীবনের বন্ধুত্ব খুবই প্রগাড় হয়, বুকে কষ্ট নিয়ে এখানকার বান্ধবীদের
ছেড়ে যাচ্ছি। তার মধ্যে আবার স্টেশনে বাবার জন্য সবাই কান্নাকাটি করছিল। সৎ ও নিরপেক্ষ
হিসেবে বাবার সুনাম ছিল, তাই সবার মনোকষ্ট। ফলে বন্ধু বিচ্ছেদ ও সবার কান্না দেখে মনটা
খুবই খারাপ হয়ে গেল।
যথারীতি যখন নোয়াখালির সোনাপুরে পৌঁছালাম তখন অভ্যর্থনার
জন্য লোক সমাবেশ, বাবা-মাকে মালা দিয়ে বরণ- এসবও আমার মনটাকে বিশেষ ভালো করতে পারল
না।
সোনাপুরেই জেলার সব বড় অফিসারদের বাংলো- ডিসি, এসপি,
জেলা জজ, সিভিল সার্জন- সবারই বাংলো। মাঝখানে শান বাঁধানো ঘাটের দীঘি। বাড়িগুলোর দেয়াল
বেতের, মেঝে পাকা, ছাদ অ্যাসফারবেটের- সুন্দর চত্বর, বড় গেট। গেট দিয়ে যখন ঢুকলাম তখন
ভিন্নধর্মী গৃহ প্যাটার্ন দেখে ভালোই লাগল।
একটু রাত হয়েছিল। খাওয়া দাওয়া করতে করতে বেশ রাত হয়ে
গেল।
ঘুমোতে যাব এমন সময় মনে হল ছাদের পাটাতনে কে যেন কাউকে
কোড়ার চাবুক মারছে, আর অজানা সেই মহিলা আর্তচিৎকার করছে- চমকে উঠলাম। শুধু যদি আমি
শুনতাম তবে হয়তো বলবার ছিল, ভুল শুনেছি। কিন্তু না! শুধু আমি নই, বাড়িসুদ্ধ সবাই শুনেছে।
আর সবাই ঘরের পাটাতনে একই শব্দ শুনতে পেয়েছে।
আটজন গার্ড বাইরে পাহারা দিচ্ছিল, বাবা ওদের জিজ্ঞেস
করলেন ব্যাপারটা কি? তারা উত্তরে বলল যে, কে বা কারা এমনটি করছে তাদের জানা নেই।
বাবা সাহসী দেখে দুইজন গার্ডকে ছাদের পাটাতনে উঠিয়ে
দিলেন দেখবার জন্য। তারা বলল এর আগেও দেখেছে, কিছু চিহ্ন মাত্র পাওয়া যায়নি। এবারও
উত্তরটা একই হল। ঘটনার এখানেই কিন্তু শেষ নয়।
এরপর শুয়ে পড়ি যার যার বিছানায়, যার যার ঘরে। রাত
তখন দুটোর কম হবেনা। মনে হল যেন ঘাড়ের কাছে কারও নিঃশ্বাস ওঠানামা করছে। গলায় যেন কার
ঠান্ডা হাত অনুভব করলাম। আমার মেজো বোনটা চিরকালই ভীতু। সে ভয়ে নিজের ঘর ছেড়ে উঠে এল
আমার বিছানায়। বলল, ‘আমি তোর সাথে ঘুমাব।’
আমি বুঝলাম সে কেন এ প্রস্তাব দিল কিন্তু ওকে বুঝতে
দিলাম না কিছু। বললাম, ‘বেশ থাকো তুমি।’ যত দোয়া দরূদ আমার জানা ছিল তা
পড়ে, বুকে ফুঁ দিয়ে ঘুমিয়ে গেলাম।
সকাল হলো। নামায পড়ে দেখলাম মা উঠান পেরিয়ে রান্নাঘরের দিকে যাচ্ছেন। বাবুর্চি চাচা অনেক আগেই এসে গেছেন। ছোট আপা অর্থাৎ আমার মেজোবোন অঘোরে ঘুমাচ্ছে। মাকে কিছু বললাম না। এভাবে কিছুদিন কেটে গেল। একই ঘটনা বলা যায় প্রায় প্রতিদিনই ঘটতে লাগল।
পৃষ্ঠা ১/ ৫
একদিন রাতে এমনটি ঘটবার সময় মনে হল, কে যেন ঠান্ডা হাত দিয়ে আমার গলার চিকন হাড়টা খুলে নিল। রাতের বেলা আর রুমটাও অন্ধকার, তাই এই অবস্থায় বিছানা ছেড়ে উঠে দেখার চেষ্টা করলাম না। তবে মনে মনে ভাবলাম, বাংলোর বাইরে আটজন গার্ড পাহারা দিচ্ছে, সুতারাং চোর ঢুকেছে একথা কোনমতে বিশ্বাস করা যায় না।
সকালে আযানের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল। বিছানা থেকে পা
নামাতেই মনে হল কিসে যেন পা ঠেকল। নিচে চেয়ে দেখি কার্পেটের উপর আমাদের দু’বোনের গলার চিকন হাড় দুটো পড়ে আছে।
অল্প বয়স, তার ওপর এমন অস্বাভাবিক ঘটনা। অস্বস্তি যে লাগেনি তখন, এমন কথা স্বীকার না
করলে মিথ্যাই বলা হবে। তাই, প্রথম থেকে শুরু করে সেদিন যা যা ঘটেছিল, মাকে সবিস্তারে
বললাম। ছোট আপা বললে হয়তো মা মনে করতেন তার মনের ভুল, ভীতু তো। আমি বলায় মা বললেন,
দেখি কি করা যায়?
এইভাবে কয়েক মাস কেটে গেল। এর মধ্যে কোন কোন ঘটনা
বিক্ষিপ্তভাবে ঘটেছে। এই ক’দিনেই বাবুর্চি চাচার সাথে আমার বেশ ভাব হয়ে গেছে।
বাবুর্চি চাচাকে আমি প্রতিরাতের ঘটনা বলি। উনি মাথা নেড়ে বলেন, হ্যাঁ, বাবুয়া, এসবই
সত্যি। এরকম ঘটনা সবই এখানে ঘটে।
তখনও আমি বুঝিনি আরও একটা অদ্ভুত ঘটনা ঘটতে চলেছে।
তখন শীত এসে গেছে। নানী এসেছেন তার একমাত্র মেয়ে জামাইকে দেখতে। ছোটবেলায় বাবার মা
মারা গিয়েছিলেন বলে নানীকে খুবই ভালবাসতেন বাবা।
সে যাই হোক, পরের দিন বাবা ট্যুরে বেগমগঞ্জ গেলেন।
যদিও বাবা কোথাও গেলে আমি সাধারণত তার সঙ্গ ছাড়িনা, কিন্তু এবার যেহেতু নানী এসেছেন,
সেহেতু গেলাম না। শীতের দিন হলেও সন্ধ্যা থেকে একটু টিপ টিপ বৃষ্টি আর বাতাস বইতে শুরু
করলো।
নানী হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। রাত দশটা পার হয়ে গেছে।
বাবা বাসায় নেই, শীতের রাত, তখনও টেলিভিশন চালু হয়নি- সবাই যার যার ঘরে শুয়ে পড়েছে
আর বোধহয় ঘুমিয়েও পড়েছে। আশ্চর্য ঘটনা হচ্ছে সেদিন ছোট আপা, মা, নানী সবাই অসুস্থ।
আয়াকেও ঘুমোতে পাঠিয়ে দিয়েছি, যদিও সে এত দ্রুত যেতে চাইছিল না। আমি একটা রহস্য গল্পের
বই নিয়ে পড়তে বসলাম, বইয়ের নামটা আজ মনে করতে পারছি না। মা বলতেন যে গল্পের বই না পড়লে
অনেক কিছুই জানা যায় না, ভাষাও শেখা যায় না। ফলে ছোট থেকেই গল্পের বই পড়ার অভ্যাসটা
রপ্ত করে ফেলেছিলাম। সেই অভ্যাসটা আজও থেকে গেছে।
সজাগ থাকার জন্য বই পড়া শুরু করলাম। কান সজাগ। বেশ রাত তখন, মনে হচ্ছিল নানি যেন ডাকছেন। উঠে গেলাম তার কাছে। গিয়ে দেখি তিনি অঘোরে ঘুমাচ্ছেন। ভাবলাম কানের ভুল।
পৃষ্ঠা ২/ ৫
নানির ঘর থেকে ফিরে আসতে যাচ্ছি- এবার মনে হলো, মা ডাকছেন আমাকে।
তাড়াতাড়ি গেলাম মার ঘরে। কিন্তু দেখি তিনিও ঘুমোচ্ছেন অঘোরে। এবারও ভাবলাম, ভুল শুনেছি।
আবারও ফিসে এসে বিছানায় বসতে যাব, মনে হলো ছোট আপা ডাকছেন। তড়িঘড়ি করে তার ঘরের দিকে
দ্রুত পায়ে এগুলাম। বসা আর হলোনা। অবাক কাণ্ড! দেখি সেও ঘুমাচ্ছে।
এই শীতরাতে আমার ঘাম ঝরতে লাগলো। এ হতে পারে না, এতবার
আমি কানে ভুল শুনলাম? তা কি করে হয়! এটা একটা অস্বাভাবিক ঘটনা, এ কথা মনে হতেই বুকের
ভেতরটা কেমন শিরশির করে উঠল। মুরুব্বিদের বলতে শুনেছি- এরকম অবস্থায় ভয় পেলেই ক্ষতি।
ওই অবস্থায় মনে হলো, যতই অস্বাভাবিক ঘটনা হোক না কেন, ভয় পেলে চলবে না।
তবে মনে যাই ভাবি না কেন, ওই সময়টায় কেমন জানি এক
অস্বস্তি অনুভব করছিলাম। কিছুতেই কাটিয়ে উঠতে পারছিলাম না এই আবেশটা। তখনও জানি না
আমার জন্য আরও কি ভয়ংকর ঘটনা অপেক্ষা করছিল। মার আঁচল ধরে ঘুরতে ঘুরতে মার মুখে মুখে
শুনে আয়াতুল কুর্সি মুখস্থ করে ফেলেছিলাম। মনে হল, ভাগ্যিস তখন শিখেছিলাম। এর গুণ আর
মাহাত্ম্য এমন যে কোন দুষ্ট-অশুভ কিছু কাছে ভীড়তে পারবে না। দোয়াটা পড়ে বুকে ফুঁ দিলাম।
মনে সাহস বাড়ল।
নিজের ঘরে গিয়ে মনে হল আমি খুবই ক্লান্ত, বসে থাকতে
পারছি না, একটু টান টান হয়ে নিই। এই চিন্তা করে লেপের ভেতর ঢুকে গেলাম। বার বার উঠতে
হতে পারে ভেবে মশারি টাঙাইনি।
খানিক পরেই মনে হলো কে যেন আমার পায়ের কাছে বসলো।
মনে হলেও উড়িয়ে দিলাম, সবাই অসুস্থ, বাইরে গার্ড, সব দরজা বন্ধ, কেমন করে কেই বা ঢুকবে
বাড়ির ভেতরে? এ কথা বলে মনে মনে লেপ দিয়ে ঢাকা মুখ আর খুললাম না।
তবে মনের ভেতর থেকে কিন্তু কিছুতেই এই চিন্তা সরাতে
পারলাম না যে, কেউ নিশ্চয়ই বসে আছে আমার পায়ের কাছটায়। এটাই বার বার মনে হতে লাগল।
ঠিক তাই! লেপ থেকে একটু মুখ খুলে দেখি যে একজন মহিলা আমার দিকে চেয়ে চেয়ে হাসছে, মাথায়
তার ঘোমটা, আমার পায়ের দিকটায় খাটের এক কোণায় বসে আছে সে। এটা দেখে আমি মুখটা আবার
ঢেকে ফেললাম।
না না ভয় পেলে চলবে না, ভয় পেলেই ক্ষতি। ‘আমি ভয় পাব না’ বারবার ভাবছি আর আয়াতুল কুর্সিসহ যত সুরা- দোয়া জানা ছিল পড়েই যাচ্ছি। শেষে একবার সাহস নিয়ে মারলাম একটা লাথি। কিন্তু কিসের মধ্যে যে মারলাম তা অনুভব করতে পারলাম না, আমার পা কোনকিছুর সাথেই ধাক্কা খেল না। তক্ষুণি মনে পড়ল, অস্বাভাবিক জিনিসদের আকৃতি থাকে, অবয়ব থাকে না।
পৃষ্ঠা ৩/ ৫
তক্ষুণি হাত পা হিম হয়ে আসতে লাগল। য্তই আমি ভয় পেতে
থাকি ততই বুকে সাহস আনবার চেষ্টা করি। দোয়া-সুরা পড়ি। লেপ ফাঁক করে চুপ করে দেখতে পাই
আমার দিকে চেয়ে মিটমিট করে হাসছেই সেই মহিলা।
সেই ছোটবেলা থেকেই, কি শীত, কি গ্রীষ্ম, কি বর্ষা
আমার ঘরের জানালা অন্তত একটা হলেও খোলা থাকে। এই শীতেও আমার ঘরের একটা জানালা খোলাই
রেখেছিলাম। খোলা জানালাটা দিয়ে একটা গন্ধরাজ ফুলগাছ দেখা যায়। ফুলের সুবাস ওই জানালাটা
দিয়ে ঘরে আসে, এটাও শীতকালে ঐ জানালাটা না লাগানোর একটা কারন। মাঝে মাঝেই লেপ একটু
ফাঁক করে জানালাটা দিয়ে দেখবার চেষ্টা করছি যদি গার্ডদের কোনও একজনকে দেখতে পাই। এইভাবে
দীর্ঘসময় কেটে গেল।
অতিক্রান্ত দীর্ঘ সময়টা আমার জন্য ভয়ঙ্কর সময় বলে
মনে হচ্ছিল, এমন সময় আযানের ধ্বনি শোনা গেল। অমনি মেয়েটি পায়ের কাছ থেকে উঠে গিয়ে জানালা
দিয়ে বেরিয়ে গন্ধরাজ গাছটাতে মিশে গেল। আমি বিমূঢ় বিষ্ময়ে চেয়ে থাকলাম ওই অশরীরি মহিলার
যাবার পথে। আমাদের মতো মানুষের তো জানালার রড ভেদ করে কিছুতেই যাওয়া সম্ভব নয়।
এমন ঘটনা মাকে না বললেই নয়। তাই নামায পড়ে মার ঘরে
গেলাম। মাকে কিছু খাইয়ে ওষুধ খাওয়ালাম। তারপর ধীরে ধীরে ঘটনাটা খুলে বললাম। মা চুপ
করে শুনে গেলেন, কিছু বললেন না।
একটু বেলা হলে মা আর্দালিকে জিজ্ঞেস করলেন তার কোন
কামেল ফকিরের কথা জানা আছে নাকি? ডাকলে আসবেন কি না?
সে জানালো যে একজনকে সে চেনে, টাকা পয়সা কিছুই নেয়
না। মাঝে মাঝে উনি তার বাচ্চাদের তেলপড়া, পানিপড়া দেন, তাবিজও দেন কিন্তু একটা পয়সাও
নেন না। সবারই উপকার হয়। তারা খুশি মনে কিছু দিতে চাইলেও উনি কিছুই নেন না। বলেন, ‘আমি আল্লাহর হুকুমেই আল্লাহর বান্দার
সেবা করি, আমি যে কিছুই নিতে পারব না। এমনকি যার চিকিৎসা করেন তার বাড়িতে কিছু খানও
না।’
মা বললেন, তার এমন লোক-ই চাই।
ওনাকে খবর দেওয়া হল। মা তাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য মাফ চাইলেন এবং পুরো ঘটনাটাই ধীরে ধীরে বললেন তাকে। উনি ঘটনা শুনতে শুনতে আমার কপালের দিকে দেখতে লাগলেন। পরে ঘটনাটা যেখানে ঘটেছে সেই ঘরটা দেখতে চাইলেন। আমি তাকে নিয়ে গেলাম আমার ঘরে। উনি জানালাটার কাছে দাঁড়িয়ে গন্ধরাজ গাছটাকে খুব গভীরভাবে দেখতে লাগলেন। তারপর কিছু আমল করে গাছের দিকে ও জানালাটায় ফুঁ দিলেন। ঘুরে আমাকে নির্দেশ দিলেন, এশার নামাযের সময় যেন আমি জানালাটা লাগিয়ে রাখি আর ফজরের নামাজ পড়বার সময় যেন খুলে দেই। যদি কেউ জানালায় টোকাও দেয়, তাও যেন না খুলি।
পৃষ্ঠা ৪/ ৫
মার কাছে ফিরে গেলেন তিনি। বললেন, আপনার মেয়ে ততটা
ভয় পায়নি, ভয় পেলেই ক্ষতি হত, আল্লাহর কালামের বরকত। আসলে ঐখানে ঐ গন্ধরাজ গাছটার নিচে
একটা মেয়েকে খুন করে পুঁতে রেখেছিল কোন এক মানুষ। এখন সেই দেহ মাটির সাথে মিশে গেছে।
এই বলে তিনি চলে গেলেন। আমরা সবাই হতভম্ভ হয়ে বসে থাকলাম।
বাবা বেগমগঞ্জ থেকে ফিরে এলেন। বাবাকে আমি সমস্ত ঘটনা
খুলে বললাম। বাবা শুনে গেলেন মন দিয়ে, শুধু বললেন, উনি যা বলেছেন, তা ঠিক ঠিক মতো মেনে
চলো।
তারপর প্রতিদিনই জানালায় টোক শুনতাম, কিন্তু জানালা
আর খুলিনি এশার পর। আর কিছু ঘটেওনি। তবে ছাদের পাটাতনে কোড়া মারবার শব্দ আর আর্তচিৎকার
অব্যাহতই ছিল। কিন্তু শ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দ আর গলায় ঠান্ডা হাতের স্পর্শের ঘটনা আর
ঘটেনি।
আমি ত্রিশ বছর আগে এম.এ পাশ করে আরো প্রায় ত্রিশ বছর অধ্যাপনা করার পরেও- এই ঘটনার কথা ভুলতে পারিনি। কি ঘটল? কে ঘটাল? প্রকৃত সত্যটা কী? আজও মনে প্রশ্ন জাগে, কিন্তু মেলে না উত্তর।
***** সমাপ্ত *****
পূর্বের পোষ্ট: রহস্যময় এক ভৌতিক অরণ্য || ভূতের গল্প ১১
পরবর্তী পোষ্ট: অস্ট্রেলিয়ার সেই ভূতুড়ে কবর || ভূতের গল্প - ১৩
‘ভূতের গল্প’ ক্যাটাগরির জনপ্রিয় গল্পসমূহ