সাদিক এগ্রো ও পুলিশের দূর্নীতিবাজ সাবেক কর্মকর্তা বেনজিরের সম্পর্ক || সময়ের আলোচিত ঘটনাবলি ১

 

সারমর্ম: বহুল সমালোচিত পুলিশের সাবেক প্রধান বেনজির আহম্মেদের সাথে আরেক সমালোচিত প্রতিষ্ঠান সাদিক এগ্রোর যে সম্পর্ক। মোট-১ পৃষ্ঠা


মাণিকে মাণিক চিনে বা চোর শেয়ালের এক চুক্তি- একথা মেলাতে হলে বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত সাদিক এগ্রোর মালিক মোহাম্মদ ইমরান হোসেন ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজির আহম্মেদের নাম জুড়ে দিলে খুব একটা ভুল হবে না। সাদিক এগ্রোতে ছিল বেনজিরের নিয়মিত আসা যাওয়া। শুধু তাই নয়, বেনজির আহম্মেদের বড় অংকের আর্থিক বিনিয়োগ রয়েছে সাদিক এগ্রোতে।

 

ঘটনা শুরু সরকারি কর্মকর্তা মতিউর পুত্র ইফাতের শখের ভ্লগ আর সাদিক এগ্রোর ১৫ লাখ টাকার ছাগল সূত্র থেকে। যেটি এখন আর ছাগল নেই, সবার চোখে সে এখন আলাদিনের চেরাগ। ইফাতের এক ঘষায় শান্তশিষ্ট ছাগল প্রতিদিনই জন্ম দিচ্ছে নতুন নতুন দৈত্যাকার আলোচনার। লাখ টাকার ছাগল আর কতজনকে ফাঁসাবে আর অবৈধ সম্পদের জ্বিন হাজির করবে তাই এখন দেখার অপেক্ষা। 

তুমুল আলোচিত পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজির আহম্মেদের নিয়মিত আসা যাওয়া ছিল সাদিক এগ্রোতে। যেখানে বড় অংকের আর্থিক বিনিয়োগও রয়েছে তার। বেনজির ছাড়াও ঐ সিন্ডিকেটের সদস্য হিসেবে বিভিন্ন পর্যায়ের আরও কর্মকর্তার যোগসাজসে সাদিক এগ্রোর মালিক ইমরান হয়ে ওঠেন গরু চোরাচালানের মাফিয়া।

অভিযোগ রয়েছে এই নিয়ে অন্য কোন খামারের মালিক বা সংশ্লিষ্ট কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের বিভিন্ন মামলায় ফাসিয়ে দিতেন ইমরান। ইমরান দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে চারটি দেশ থেকে গরু আনতেন। বিভিন্ন দেশ থেকে যেসব গরু আনা হত সেগুলোর বেশিরভাগই রাখা হত আমিন বাজার ১৬ নামের এলাকায় সাদিক এগ্রোর আরেকটি খামারে। এসব গরু আনতে সরকারি অনুমোদন নিতেন না তিনি। একাজে তাকে সহযোগিতা করতেন শেখ জাফর ছোটন ও নাজিবুল্লাহ।

একদিকে অবৈধ পথে চোরাকারবারির মাধ্যমে দেশে পশু আনতেন অন্যদিকে সংবাদ সম্মেলন করে অবৈধ পথে পশু আমদানি না করার পরামর্শ দিতেন। মুলত কোরবানির আগে তিনি এমন প্রতারণার আশ্রয় নিতেন।

জানাগেছে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজির আহম্মেদের গোপালগঞ্জের গরুর খামারটিও প্রস্তুত করে দেন ইমরান। শুধু তাই নয় চোরে চোরে মাস্তুত ভাইয়ের নজির হিসেবে অবৈধভাবে সীমান্ত দিয়ে আনা বেশকিছু গরু বেনজিরের খামারেও পাঠাতেন ইমরান।

২০০৮ সালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বেরিবাধ সংলগ্ন ভাঙ্গা মসজিদের গলিতে ২০ লাখ টাকা পুঁজি দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন ইমরান হোসেন। বর্তমানে তিনি হাজার কোটি টাকার গরু পাচারকারী এক মাফিয়া যাকে ছাই দিয়ে ধরলে বেরিয়ে আসবে অনেক রাখব বোয়ালের নাম।


***** সমাপ্ত *****

إرسال تعليق (0)
أحدث أقدم