সারমর্ম: বাংলাদেশে সবগুলো সামরিক ও আধা-সামরিক বাহিনীর নাম, কাজ ও সদস্য সংখ্যা। মোট-২ পৃষ্ঠা
বাংলাদেশ
তিন প্রধান সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি রয়েছে বর্ডার গার্ড, পুলিশ, আনসার, র্যাপিড একশন
ব্যাটালিয়ন, কোষ্টগার্ড এবং ফায়ার সার্ভিস এণ্ড সিভিল ডিফেন্স। তবে কোন বাহিনীর প্রকৃত
সংখ্যা কত তা অনেকেরই অজানা। এই প্রতিবেদনে আমরা জানবো কোন বাহিনীর প্রকৃত সংখ্যা কত।
সেনাবাহিনী:
বাংলাদেশ
সেনাবাহিনী বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর একটি স্থল শাখা। এটি বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর
সর্ববৃহৎ শাখা। সেনাবাহিনীর প্রাথমিক দ্বায়িত্ব হচ্ছে বাংলাদেশের ভূখন্ডের অখন্ডটা
রক্ষা সহ সব ধরণের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহায়তা, প্রয়োজনীয় শক্তি ও জনবল সরবরাহ করা।
প্রাথমিক দ্বায়িত্বের পাশাপাশি যে কোন জাতীয় জরুরি অবস্থায় বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায়
এগিয়ে আসতে বাংলাদেশে সেনাবাহিনী সাংবিধানিকভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বাংলাদেশ
সেনাবাহিনীর বর্তমান সদস্য সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ ২৭ হাজার।
নৌবাহিনী:
বাংলাদেশ
নৌবাহিনীর প্রাথমিক দ্বায়িত্ব হচ্ছে দেশে এবং বিদেশে বাংলাদেশের সামরিক এবং অর্থনৈতিক
স্বার্থ সংরক্ষণ। পাশাপাশি বাংলাদেশ নৌবাহিনী বাংলাদেশের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং বিদেশে
মানবিক সহায়তা মিশনে একটি নেতৃত্বস্থানীয় বাহিনী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ
নৌবাহিনীর বর্তমান সদস্য সংখ্যা: প্রায় ২৪ হাজার।
বিমানবাহিনী:
বাংলাদেশ
বিমানবাহিনী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর আকাশ যুদ্ধ শাখা। বিমান বাহিনীর প্রাথমিক দ্বায়িত্ব
হচ্ছে বাংলাদেশের আকাশ সীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে বিমান সহায়তা প্রদান করাও বিমান বাহিনীর অন্যতম দ্বায়িত্ব।
বিমান
বাহিনীর বর্তমান সদস্য সংখ্যা ১৭ হাজার ৩৯০ জন।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ:
বিজিবি
বাংলাদেশের একটি আধা-সামরিক বাহিনী। এর কাজ হল মূলত বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষা করা।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের বর্তমান সদস্য সংখ্যা প্রায় ৭০ হাজার।
পৃষ্ঠা ১/ ২
পুলিশ:
বাংলাদেশ
পুলিশ বাংলাদেশের একমাত্র আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা।
বাংলাদেশ
পুলিশের বর্তমান সদস্য সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ ১২ হাজার।
আনসার-ভিডিপি:
বাংলাদেশ
আনসার ও ভিডিপি, এটি বাংলাদেশের একটি আধা সামরিক বাহিনী। এর মূল দ্বায়িত্ব বাংলাদেশের
অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ ও সংরক্ষণ। এটি দেশের সর্ববৃহৎ সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত
বাহিনী।
বাংলাদেশ আনসার ভিডিপির বর্তমান সদস্য সংখ্যা প্রায় ৬১ লক্ষ যার প্রায় অর্ধেকই নারী।
র্যাব:
র্যাপিড
একশন ব্যাটালিয়ন বা র্যাব, এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন সন্ত্রাস দমনের উদ্দেশ্যে গঠিত
চৌকস বাহিনী।
বাংলাদেশ
র্যাবের বর্তমান সদস্য সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার।
ফায়ার সার্ভিস:
ফায়ার
সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়াধীন
একটি জরুরি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম জনগণের সেবায় নিবেদিত।
অগ্নি প্রতিরোধ, উদ্ধার, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান, মুমূর্ষ রোগীদের হাসপাতালে
প্রেরণ ও দেশি বিদেশী ভিআইপিদের অগ্নি নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে।
বাংলাদেশ
ফায়ার সার্ভিসের বর্তমান সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার।
কোষ্টগার্ড:
বাংলাদেশ
কোষ্টগার্ড বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূল অঞ্চলে নিয়োজিত একটি আধা-সামরিক বাহিনী। এই সংস্থা
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিধি আইন প্রয়োগের মাধ্যমে উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা
বিধান এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে।
***** সমাপ্ত *****
পূর্বের পোষ্ট: হাসিনার মতো চাপের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন যেসব রাষ্ট্রপ্রধান || জানা-অজানা ৬
পরের পোষ্ট:
‘জানা-অজানা’ ক্যাটাগরির জনপ্রিয় পোষ্টসমূহ
◉ গাছপাকা আম ও ক্যামিকেল দিয়ে পাকানো আম চেনার কিছু উপায় || জানা-অজানা ১
◉ মানুষের চুমু খাওয়ার কারণগুলো কি কি? || জানা-অজানা ২
◉ বাংলাদেশের টাকার ইতিহাস ও বর্তমান প্রচলিত মুদ্রা ব্যবস্থা || জানা-অজানা ৩
◉ বাংলাদেশের যে স্থানে পালা হয় শত শত বিষধর সাপ || জানা-অজানা ৪
◉ ২০২৪ সালে বাংলাদেশের সেরা ১০টি ব্যাংকের তালিকা || জানা-অজানা ৫