সারমর্ম: পৃথিবীর কয়েকজন রাষ্ট্রপ্রধান যারা ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন। তাদের পদত্যাগের পেছনে ঠিক কি কারণ ছিল, তারা কোন দেশে পালিয়ে গিয়েছিলেন এবং বর্তমানে তাদের কি অবস্থা, এসব জানতে পড়ুন পুরো অনুচ্ছেদটি। মোট-৫ পৃষ্ঠা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে মাত্র ৪৫ মিনিটের
মধ্যে পদত্যাগ ও দেশ ছেড়ে স্বপরিবারে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী
হিসেবে দ্বায়িত্ব গ্রহণের এক বছরও পেরোননি। আন্দোলনের মাঝেই তিনি দেশ ছেড়ে পালানোর
পাত্রী নয় বলেও মন্তব্য করেছেন।
দেশ ছেড়ে পালানোর এমন ঘটনা যেন দেশের ইতিহাসে যুক্ত
করলো নতুন অধ্যায়ের। এর মধ্য দিয়ে দেশের রাজনীতিতে বড় ধরণের পরিবর্তন হবে বলেও ধারণা
বিশ্লেষকদের।
তবে শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসেই নয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর
মতো চাপের মুখে কিংবা মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছিলেন একাধিক রাষ্ট্রপ্রধান।
এদের মধ্যে আছেন-
জাইর বোলসোনারো - ব্রাজিল
যা ঘটেছিল:
জাইর বলসোনারো ৩০ অক্টোবর ২০২২ সালে ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে হেরে যান। হেরে
যাওয়ার পরও তিনি দেশেই ছিলেন কারণ তার ক্ষমতার মেয়াদ ছিল ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত।
কিন্তু আগত নতুন রাষ্ট্রপতি ‘লুইজ
ইনাসিও লুলা দা সিলভা’ এর
শপথ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ এড়াতে, বলসোনারো তার মেয়াদ শেষ হওয়ার একদিন আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
উদ্দেশ্যে দেশত্যাগ করেন।
বলসোনারো
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালীন সময়ে তার সমর্থকেরা ৪ জানুয়ারী ২০২৩ তারিখে জাতীয়
সংসদ ভবন, রাষ্ট্রপতির বাসভবন এবং সুপ্রিম কোর্টে ব্যপক ভাংচুর করেছিল।
এরপর
বলসোনারো ২০২৩ সালের মার্চ মাসে ব্রাজিলে ফিরে এসেছিলেন এবং বলেছিলেন যে তিনি ২০২৪
সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, কিন্তু ব্রাজিলের নির্বাচনী আদালত তাকে ২০৩০
সাল পর্যন্ত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধা দেয় কারণ তিনি দেশের নির্বাচনী
আইন লঙ্ঘন এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছেন।
বর্তমান অবস্থা: বলসোনারো বর্তমানে ব্রাজিলে তার বাড়িতে আইনি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন
এবং বিদেশেও ভ্রমণ করতে পারবেন না, কারণ ২০২৩ সালে দেশে ফিরে আসার পর থেকে তার পাসপোর্ট
পুলিশের হাতে রয়েছে।
গোটাবায়া রাজাপাকসা – শ্রীলংকা
যা ঘটেছিল:
২০২২ সালের জুলাই মাসে, শ্রীলঙ্কার তৎকালীন রাষ্ট্রপতি, গোটাবায়া রাজাপাকসের প্রশাসন
গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটে পরে জনসাধারণের তীব্র অস্থিরতার সম্মুখীন হয়েছিল। বিক্ষোভকারীরা
রাজাপাকসের বাসভবনে হামলা চালায় এবং তিনি মালদ্বীপে পালিয়ে যান। মালদ্বীপে কয়েকদিন
থাকার পর, তিনি সেখান থেকে সিঙ্গাপুরে গিয়ে সেখানে এক মাস ছিলেন। এরপর সিঙ্গাপুর থেকে
থাইল্যান্ডে গিয়ে কয়েক সপ্তাহ অবস্থান করেন। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি দেশে ফিরে
আসেন।
বর্তমান অবস্থা: ২০২৩ সালের নভেম্বরে শ্রীলঙ্কার একটি আদালত তাকে অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার
জন্য দোষী সাব্যস্ত করেছে। বর্তমানে তিনি আইনি মামলায় জর্জরিত রয়েছেন।
পৃষ্ঠা ১/ ৫
আশরাফ গনি – আফগানিস্তান
যা ঘটেছিল:
২০২১ সালের আগষ্টে তালেবানের আফগানিস্তান পুনরুদ্ধারের অভিযান শুরু হয়। এ সময় আফগানিস্তানের
রাষ্ট্রপতি ছিলেন আশরাফ গনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তালেবানের সাথে যুদ্ধে টিকতে না পেরে
তিনি প্রথমে তাজিকিস্তানে পালিয়ে যান। তারপর সেখান থেকে উজবেকিস্তানে যান। শেষ পর্যন্ত
সংযুক্ত আরব আমিরাত আফগানিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত রাষ্ট্রপতি আশরাফ গনিকে গ্রহন করে।
বর্তমান অবস্থা: বর্তমানে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে রয়েছেন।
ইংলাক সিনাওয়াত্রা – থাইল্যান্ড
যা ঘটেছিল:
ইংলাক সিনাওয়াত্রা ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
তার বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে একটি সরকারি প্রকল্পের তহবিল অপব্যবহার করার অভিযোগ আনা হয়েছিল
এবং ২০১৪ সালে ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। এসময় একটি
সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে এবং সিনাওয়াত্রা প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে যুক্তরাজ্যে
পালিয়ে যান।
বর্তমান অবস্থা: ২০২৪ সালে একটি থাই আদালত তাকে অভিযোগ থেকে খালাস দিলেও বর্তমানে তিনি
যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত জীবনযাপন চালিয়ে যাচ্ছেন।
মাইকোলা আজারভ – ইউক্রেন
যা ঘটেছিল:
তৎকালীন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী মাইকোলা আজারভ এর প্রশাসন ২০১৩ সালে নভেম্বরে ইউরোপীয়
ইউনিয়নের সঙ্গে ইউক্রেন অ্যাসোসিয়েশনের একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে
অস্বীকৃতি জানায়। ইউক্রেনীয়রা অভিযোগ করে, রাশিয়াকে সুবিধা দিতে সরকার এ চুক্তি করেনি।
এ অভিযোগে রাস্তায় নামেন সরকারবিরোধী ও সাধারণ জনগণ।
২০১৪
এর ১৬ জানুয়ারি ইউক্রেন পার্লামেন্টে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকে ‘অপরাধের আওতাভুক্ত’ করে
একটি বিল পাস হওয়ার পর নতুন করে আন্দোলনে নামেন বিক্ষোভকারী। বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থল
ইন্ডিপেনডেন্স স্কয়ারে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ৩ বিক্ষোভকারী নিহতের পর আন্দোলন আরও
জোড়ালো হয়। ফলস্বরুপ প্রধানমন্ত্রী মাইকোলা আজারভ পদত্যাগ করেন এবং রাশিয়ায় নির্বাসিত
হন।
বর্তমান অবস্থা: ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে, আজারভ রাশিয়ায় নির্বাসিত জীবনযাপন
করছেন যেখানে তিনি ইউক্রেন স্যালভেশন কমিটি নামে পরিচিত একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন
যার লক্ষ্য ইউক্রেনের বর্তমান সরকার পরিবর্তন করা।
পৃষ্ঠা ২/ ৫
ভিক্টর ইয়ানুকোভিচে – ইউক্রেন
যা ঘটেছিল:
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউক্রেন অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যাকার মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর
প্রদানের অস্বীকৃতি স্বরুপ ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে সংগঠিত বিক্ষোভের সময় পুলিশ এবং নিরাপত্তা
কর্মকর্তাদের সাথে সংঘর্ষে ১০০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছিল। ভিড়ের উপর গুলি
চালানোর পর অধিকাংশ মৃত্যু ঘটেছে।
ফলস্বরূপ,
ইয়ানুকোভিচের জনপ্রিয়তা কমে যায় এবং ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সালে তাকে অভিশংসিত করা হয়।
ওই দিনই তিনি রাশিয়ায় পালিয়ে যান বলে জানা গেছে।
বর্তমান অবস্থা: বর্তমানে তিনি রাশিয়ায় নির্বাসিত জীবনযাপন চালিয়ে যাচ্ছেন। ইউক্রেনীয়
একটি আদালত ২০১৯ সালে তাকে ২০১৪ সালের ঘটনাগুলির জন্য রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে দোষী সাব্যস্ত
করে।
পারভেজ মোশাররফ – পাকিস্তান
যা ঘটেছিল:
পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসক জেনারেল পারভেজ মুশাররফ ১৯৯৯ সালে একটি অভ্যুত্থানের
মাধ্যমে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে ক্ষমতাচ্যুত করে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট
হিসেবে দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। জেনারেল
মুশাররফ ২০০৭ সালে সংবিধান স্থগিত করে জরুরি অবস্থা জারী করেন, তার উদ্দেশ্য ছিল শাসনামল
প্রলম্বিত করা। আর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এই নিয়েই।
তার
সংবিধান স্থগিত করার ঘটনায় গোটা পাকিস্তান জুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ইমপিচমেন্ট এড়াতে
২০০৮ সালে পদত্যাগ করেন জেনারেল মুশাররফ। ২০০৮ সালের নভেম্বরে, তিনি যুক্তরাজ্যে পালিয়ে
যান এবং সেখানে তিনি ২০১৩ সাল পর্যন্ত অবস্থান করেন।
২০১৩
সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবার জন্য আবারো পাকিস্তানে ফিরে আসেছিলেন মোশাররফ।
কিন্তু ২০১৪ সালে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা চালু হয় এবং এর পেক্ষিতে তিনি আদালতের
নিষেধাজ্ঞার কারণে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে ব্যর্থ হন। ২০১৬ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানে
অবস্থান করে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে পালিয়ে যান এবং সেখানে ২০২৩ সাল পর্যন্ত রাজনৈতিক
নির্বাসনে বসবাস করেন।
বর্তমান অবস্থা: মুশাররফ ২০২৩ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে দীর্ঘ অসুস্থতার পরে
মারা যান।
পৃষ্ঠা ৩/ ৫
নওয়াজ শরীফ – পাকিস্তান
যা ঘটেছিল:
১৯৯৯ সালের মে-জুলাই মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংগঠিত কার্গিল যুদ্ধকে কেন্দ্র
করে তৎকালীন পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের ও সেনাপ্রধান পারভেজ মোশাররফের মধ্যে
বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই পেক্ষিতে একটি সেনাঅভ্যুত্থান ঘটে এবং প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে
উৎখাত করে এক বছরের জন্য জেলে রাখা হয় এবং তারপরে সৌদি আরবে নির্বাসিত করা হয়। যেখানে
তিনি ২০০৭ পর্যন্ত ছিলেন।
তিনি
২০০৭ সালে পাকিস্তানে ফিরে আসেন কিন্তু ২০১৩ পর্যন্ত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে
পারেননি। এরপর ২০১৩ সালের নির্বাচনে শরীফ তৃতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
নির্বাচিত হন। কিন্তু ২০১৬ সালে, তার সরকারকে দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত করা হয় এবং
২০১৮ সালে, তাকে কারাগারে দন্ডিত করা হয়। ২০১৯ সালে, তাকে কয়েক সপ্তাহের জন্য চিকিৎসার
জন্য যুক্তরাজ্যে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তিনি ২০২৩ সাল পর্যন্ত লন্ডনেই ছিলেন
এবং সেখান থেকেই তার রাজনৈতিক দল পরিচালনা করেছিলেন।
বর্তমান অবস্থা: নওয়াজ শরীফ ২০২৩ সালে লন্ডন থেকে পাকিস্তানে ফেরেন। বর্তমানে তিনি সক্রিয়ভাবে
তার দল পরিচালনা করছেন। তার ভাই শেহবাজ শরীফ পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, মেয়ে
মরিয়ম নওয়াজ শরীফ পাঞ্জাব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
বেনজির ভুট্টো – পাকিস্তান
যা ঘটেছিল: বেনজির ভুট্টো ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন। ঐ বছর
পাকিস্তানে এক সামরিক অভ্যুত্থানের পর যখন সরকারের পতন ঘটে তখন তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে
নির্বাসিত হন। তিনি ১৯৯৯ সাল থেকে আট বছরেরও বেশি সময় ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নির্বাসিত
ছিলেন।
বর্তমান অবস্থা: ২০০৭ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তিনি পাকিস্তানে ফিরে
আসার পর, রাজধানী ইসলামাবাদের কাছে একটি প্রচার সমাবেশের সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে
নিহত হন।
পৃষ্ঠা ৪/ ৫
সাদিক আল মাহদি - সুদান
যা ঘটেছিল: যিনি ১৯৬৬ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত এবং আবার ১৯৮৬ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত
সুদানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার দ্বিতীয় মেয়াদে, তিনি
তার দল উম্মা পার্টি এবং তার শ্যালকের দল জাতীয় ইসলামিক ফ্রন্টের সমন্বয়ে একটি জোট
সরকার গঠন করেন। এই জোটটি অস্থিতিশীল বলে প্রমাণিত হয়েছিল এবং ১৯৮৯ সালের জুনে, ব্রিগেডিয়ার
ওমর আল-বশিরের নেতৃত্বে একটি সামরিক অভ্যুত্থানে আল-মাহদিকে উৎখাত করা হয়েছিল।
অভ্যুত্থানের
পর, আল-মাহদি বিভিন্ন দেশে নির্বাসিত জীবনযাপন করেন এবং ২০১৮ সালে দেশে ফিরে আসার আগে
বিদেশ থেকে বিরোধী দলের নেতৃত্ব দেন। পরে তাকে আবার গ্রেফতার করা হয় কিন্তু 2019 সালে
আবার পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
বর্তমান অবস্থা: ২০২০ সালে তিনি কোভিড-১৯ সংক্রমণে মারা যান।
জিন বার্ট্রান্ড এরিস্টাইড - হাইতি
যা ঘটেছিল:
হাইতির প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি জিন-বার্ট্রান্ড অ্যারিস্টাইড ১৯৯১
সালে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হন। সেই বছরের শেষের দিকে একটি সামরিক অভ্যুত্থানে এরিস্টাইড
ক্ষমতাচ্যুত হন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান। ১৯৯৪ সালে মার্কিন হস্তক্ষেপে
তিনি পুনরায় রাষ্ট্রপতি হয়ে দেশে ফিরে আসেন এবং ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দ্বায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৬
সালে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগ করে ১৯৯৭ সালে তিনি তার নতুন রাজনৈতিক দল লাভলাস পরিবার
গঠন করেন এবং ২০০০ সালে পুনরায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের জুলাই মাসে অ্যারিস্টাইডের
বিরুদ্ধে একটি অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়, কিন্তু পরবর্তী কয়েক বছর ধরে তার শাসনের বিরোধিতা
বেড়ে যায়। ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি সরকার বিরোধী বিক্ষোভের মধ্যে দেশ ছেড়ে
পালিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় নির্বাসিত জীবনযাপন করেন। দীর্ঘ সাত বছর নির্বাসিত থেকে তিনি
২০১১ সালে হাইতিতে ফিরে আসেন।
***** সমাপ্ত *****
পূর্বের পোষ্ট: ঢাকা শহরে একটি পারমাণবিক বোমা ফেললে যা যা ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে || জানা-অজানা ৫
পরের পোষ্ট: বাংলাদেশের কোন বাহিনীর সংখ্যা কত (সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব) || জানা-অজানা ৮
‘জানা-অজানা’ ক্যাটাগরির জনপ্রিয় পোষ্টসমূহ
◉ মানুষের চুমু খাওয়ার কারণগুলো কি কি?
◉ বাংলাদেশের টাকার ইতিহাস ও বর্তমান প্রচলিত মুদ্রা ব্যবস্থা
◉ বাংলাদেশের যে স্থানে পালা হয় শত শত বিষধর সাপ
◉ ২০২৪ সালে বাংলাদেশের সেরা ১০টি ব্যাংকের তালিকা
◉ ঢাকা শহরে একটি পারমাণবিক বোমা ফেললে যা যা ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে