সারমর্ম: অরণ্যের এক মায়াবিনী তার মায়ার জালে আবদ্ধ করেছিল এক যুবককে। উদ্দেশ্য ছিল যুবককে চিরকালের জন্য তার মায়ার রাজ্যে নিয়ে আসা। যুবকও ধরা দিয়েছিল ফাঁদে। শেষে কি হয়েছিল যুবকের ভাগ্যে? মোট-৪ পৃষ্ঠা
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। অনেক দূরের দেশ হলেও
ছন্দোময় ফুটবলের জন্য আমাদের মতো দেশেও রয়েছে তার বিপুল জনপ্রিয়তা। আমাদের মধ্যে এমন
কাউকো হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না যে ব্রাজিলের নাম জানে না। যখন বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা
আরম্ভ হয় তখন আমাদের দেশের ফুটবল পাগল লোকগুলো ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা এই দুই দলে বিভক্ত
হয়ে পড়ে। সেই ব্রাজিলেরই একটি লোককাহিনী শুনবো এবার।
সেই সময় ব্রাজিলেরই একটা অংশে কোন একটা সময়ে হয়তো
সূর্যের প্রচণ্ড খরতাপ ছিল। লোকজন দিনের বেলায় খুব কমই ঘর ছেড়ে বেরোত। সে দেশের এক
ঘন অরণ্যের মাঝখান দিয়ে চলে গেছে বিশাল এক নদী। ওই দেশে বাস করতো এক তরুণী, নাম জুলিয়া।
নদীর তীরবর্তী শহরে বাস করতো তরুণী জুলিয়া। সেখানেই
সে বেড়ে উঠেছে তার শৈশবকাল থেকে। অন্য দেশ থেকে অ্যালোঞ্জো নামক এক যুবক একদিন জুলিয়ার
দেশে আসে। যুবক অ্যালোঞ্জো এই গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের মায়াবী অরণ্যের বিচিত্র রহস্যাবলি
সম্পর্কে অজ্ঞ ছিল।
একদিন উৎসব থেকে ফেরার পথে অ্যালোঞ্জো দেখে যে জুলিয়া
একটা হিংস্র বন্য কুকুরের আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছে।
অ্যালোঞ্জো তাকে বিপদমুক্ত করে। তারপর থেকে সে জুলিয়াদের গৃহে লাভ করে একজন সাদর অতিথির
মর্যাদা। অল্প কদিনের মধ্যেই অ্যালোঞ্জো-জুলিয়ার বিয়ে ঠিক হয়ে যায়।
প্রতিদিন কাজের শেষে অ্যালোঞ্জো বনপথ ধরে জুলিয়ার
বাড়ি ফেরে কিন্তু একদিন অ্যালোঞ্জোকে একটু বিচলিত দেখা গেল।
জুলিয়া জিজ্ঞাসা করল- ‘এই কি হয়েছে তোমার? কাল রাতে বাড়ি
ফেরার পর থেকে এমন কেন বলোত?’
অ্যালোঞ্জো উত্তরে জানাল- ‘রোজ যা করি তাই। গরমে ঘুমাতে পারছিলাম
না, তাই আমি বিছানা ছেড়ে উঠে একটু হাঁটাহাঁটি করার জন্য বনে যাই, তারপর কালো গভীর একটা
জলাশয়ে গিয়ে সেখানে গোসল করি, যেমন করেছি অনেক রাতে এদেশে আসার পর থেকেই। কিন্তু গতরাতে
একটা আশ্চর্য ব্যাপার ঘটে। গোসল শেষে পানি থেকে ওঠার পর আমি শুনতে পাই একটা ভারি মিষ্টি
গলার গানের সুর, যা ছিল বুলবুলির চাইতেও মধুর। আমি চারদিকে তাকাই, অনেক খোঁজাখুঁজি
করি, কিন্তু কাউকে দেখতে পাইনি।’
একথা শুনে জুলিয়ার সারা শরীর থরথর করে কেঁপে ওঠে,
মুখ সাদা হয়ে যায়। বিশাল নদীর পাশে ওই গভীর বিস্তীর্ণ অরণ্যের পরিবেশে সে তার সারাজীবন
অতিবাহিত করেছে। ইয়ারার কথা সে ছেলেবেলা থেকেই শুনে এসেছে। ডাইনি ইয়ারা তার পছন্দের
লোককে বন্দি করে সঙ্গে নিয়ে যায়, আর তারা কখনো ফিরে আসে না।
জুলিয়া বলল, ‘অ্যালোঞ্জো, তুমি আমার কাছে শপথ
করো।’
অ্যালোঞ্জো- ‘অবশ্যই, তুমি যা বলবে তাই হবে।’
পৃষ্ঠা ১/ ৪
জুলিয়া- ‘কথা দাও যে তুমি আর কখনো ওই গাঢ়
কালো জলাশয়ে গোসল করবে না।’
অ্যালোঞ্জো বলল, ‘আমি তো ওখানে বহুবার গোসল করেছি,
কোন বিপদ হয়নি আমার।’
জুলিয়া- ‘এতদিন হয়নি, কিন্তু এবার হবে। শপথ
করো অ্যালোঞ্জো, ঐ জলে তুমি আর কখনো নামবে না’
অ্যালোঞ্জোর অবাক চোখ জুলিয়ার দিকে তাকালো। ‘ব্যাপার কি জুলিয়া? তুমি কাঁদছো
কেন? এমন শিউরে শিউরে উঠছো কেন?’
জুলিয়া জিজ্ঞেস করলো, ‘তুমি কি সেখানে কোন গান শুনেছিলে?’
অ্যালোঞ্জো- ‘হ্যাঁ, কিন্তু একটা গান কি এমন
ক্ষতি করতে পারে?’
জুলিয়া কান্না ভরা গলায় বলল, ‘প্রথমে গান শুনবে, তারপর তোমার
সামনে এসে দাঁড়াবে গানের গায়িকা, মৃত্যুদূত!’
অ্যালোঞ্জো- ‘কি বলছো তুমি, জুলিয়া?’
জুলিয়া- ‘আমি সত্যি কথা বলছি, অ্যালোঞ্জো।
তুমি যার গান শুনেছো সে আর কেউ নয়, সে ইয়ারা।’
জুলিয়ার কথা শুনে উচ্চ কন্ঠে হেসে উঠলো অ্যালোঞ্জো।
‘ইয়ারা!’ কিন্তু দেখতে দেখতে তার উচ্চ কণ্ঠে
উচ্ছাস ভরা হাসি কেমন কর্কশ, তীব্র ও নিষ্ঠুর হয়ে গেল।
জুলিয়া চিৎকার করে উঠল, ‘ওহ, হো! তুমি ইয়ারাকে দেখেছো! যারা
ইয়ারাকে দেখে শুধু তারাই ওরকম করে হাসে।’ কথাগুলো বলেই জুলিয়া জ্ঞান হারিয়ে
মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
একটু পরে জুলিয়া সুস্থ হয়ে উঠে বসলে অ্যালোঞ্জো প্রতিজ্ঞা
করল যে, সে আর কখনো জলাশয়ে গোসল করবে না, যদিও ইয়ারার ব্যাপারটা সে তখনও বিশ্বাস করতে
পারেনি।
অ্যালোঞ্জোর প্রতিশ্রুতি পেয়ে জুলিয়ার মন হালকা হয়।
আশ্বস্ত হলেও জুলিয়া বলে, ‘শোন অ্যালোঞ্জো, ইয়ারার শক্তি যে কিরকম প্রবল তা বলে
শেষ করা যাবে না। বহু যুবক তার গানের জাদুতে মুগ্ধ হয়ে তাকে অনুসরণ করে চিরকালের জন্য
হারিয়ে গেছে। তুমিও হয়তো তোমার প্রতিশ্রুতির কথা ভূলে গিয়ে তার পেছনে পেছনে চলে যাবে।
যদি সেরকম কিছু ঘটে তাহলে কথা দাও, তুমি এই জিনিসটা তোমার সঙ্গে নেবে।’
একথা বলে জুলিয়া তার গয়নার বাক্স থেকে একটি রঙিন বিচিত্র
ধাঁচের শঙ্খ বের করে আনলো, তারপর সেই শঙ্খে ফুঁ দিয়ে অ্যালোঞ্জোর মুখের কাছে মুখ রেখে
জুলিয়া একটা মধুর গান গাইলো। এরপর শঙ্খটি অ্যালোঞ্জোর হাতে দিয়ে সে বলল, ‘এটা তুমি তোমার সঙ্গে রাখবে। ইয়ারার
গান শুনলেই তুমি এই শঙ্খ তোমার কানের কাছে ধরবে আর তখন তুমি ইয়ারার গানের পরিবর্তে
শুনবে আমার গান। তবে আমার গান ইয়ারার গানবে হারিয়ে দিতে সক্ষম হবে কি না আমি জানিনা।’
সেদিনও অ্যালোঞ্জোর বাড়ি ফিরতে অনেক রাত হয়ে যায়।
বিশাল নদীর ওপারে আকাশে তখন চাঁদ উঠেছে। অরণ্যকে মনে হয় শীতল, আরামদায়ক, উষ্ণতাবর্জিত।
সে যেন অ্যালোঞ্জোকে ডাকছে, ‘এসো, তোমার প্রিয় জলাশয়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ো, মনের আনন্দে
সেখানে গোসল করো।’
পৃষ্ঠা ২/ ৪
কিন্তু অ্যালোঞ্জো সেই আহবান প্রত্যাখান করলো। জুলিয়ার
মুখে ফুঁটে উঠে আনন্দ ও তৃপ্তির হাসি। পরের রাতেও অ্যালোঞ্জো তার সংকল্পে অটুট থাকে,
কিন্তু তৃতীয় রাতে নিজেকে আর আটকে রাখতে পারলো না। অরণ্যের গভীর থেকে ভেসে আসা মায়াবি
সুরেলা গলার আশ্চর্য সুন্দর গান তাকে পাগল করে তুললো। সে অরণ্যের গাছপালা ও লতাকুঞ্জের
মধ্য দিয়ে তার প্রিয় জলাশয়ের পানে এগিয়ে গেল।
জলাশয়ের কাছে এসে তার অদ্ভুত অনুভূতি হল। সবকিছু যেন
স্বাভাবিক নয়। ইয়ারার কথা সে এখনও বিশ্বাস করে না, ওরকম আবার হয় নাকি, কিন্তু জুলিয়ার
সাবধান বাণি তার মনে পড়লো। তবু সে তার গোসলের ইচ্ছা বিসর্জন দিল না। জলে পা দেবে ঠিক
ওই মূহুর্তে সে হঠাৎ পেছনে ফিরে তাকাতেই একটা আশ্চর্য দৃশ্য দেখল। গাছপালা আর লতাকুঞ্জের
মধ্য দিয়ে চাঁদের একটা উজ্জ্বল রশ্মি গিয়ে পড়েছে বনের মধ্যে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা
এক সুন্দরী যুবতীর উপর।
অ্যালোঞ্জো ভীষণ চমকে যায়। সে এক দৌড়ে বাড়ি এসে পৌঁছায়।
পরদিন ভোরে আবার সে ঐ জলাশয়ে গেল কিন্তু কোথাও অস্বাভাবিক কিছু দেখতে পেল না। সে মনে
মনে বলল, ‘নিশ্চয়ই আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম। জুলিয়ার আজগুবি গালগল্প
শুনে আমার মাথা খারাপ হয়ে গেছে।’
কিন্তু সারাটা দিন তার খুব অস্থির লাগলো। গায়ে জ্বর
জ্বর ভাব। দিনভর সে যথারীতি নিজের কাজকর্ম করলো কিন্তু নিষ্প্রাণ ভাবে। সন্ধ্যায় সে
জুলিয়ার কাছে গেল, যেমন সবসময় যেত, কিন্তু গতরাতের কথা তাকে জানালো না।
সেদিন রাতে ঘরে ফিরে এসে তার কোমরের বেল্টে একটা গুলি
ভরা পিস্তল গুঁজতে গুঁজতে সে আপন মনে বলল, ‘জুলিয়া কাল তোমাকে আমি সব জানাবো।
কালই ইয়ারার রহস্যের সমাধান হয়ে যাবে।’ তার পিস্তলের পাশে সে ঝুলিয়ে নিল
আরেকটা থলি, সেখানে ছিল জুলিয়ার শঙ্খ। তারপর অ্যালোঞ্জো এগিয়ে চলল জলাশয়ের দিকে। গোটা
অরণ্য এখন নিরব, শুধু শোনা গেল কয়েকটা রাতের পাখির ডাক আর দূর থেকে ভেসে আসা একটা চিতা
বাঘের চাপা গর্জন।
অ্যালোঞ্জো জলাশয়ের পাশে একটা গাছের গায়ে হেলান দিয়ে
কিছুক্ষণের জন্য বসে রইলো। অল্পসময় পরেই সে যেন একটা স্বপ্নের ঘোরে আচ্ছন্ন হয়ে গেল।
তার পরই তার কানে এসে বাজল একটা মায়াবী গানের ধ্বনী, সেই সঙ্গে সে শুনলো, ‘এসো, ঝাঁপ দাও, কেন দেরি করছো?’
অ্যালোঞ্জো লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়ায়, ভাঙ্গা গলায় জিজ্ঞেস
করে, ‘কে তুমি? কে আমায় ডাকছো?’
কিন্তু সে কোন জবাব পায়না, কাউকে দেখতেও পায় না। জলাশয়ের নিচে থাকা কালো জল তরঙ্গ তাকে অপ্রতিরোধ্যভাবে আকর্ষণ করতে থাকে। সে অন্য কোন দিকে তার দৃষ্টি ফেরাতে পারে না।
হঠাৎ তার মনে হল সে যেন ঐ জলের গভীরে, নিচে, অনেক নিচে,
একটা উজ্জ্বল তারা দেখতে পাচ্ছে। তারাটা আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে, তারার উজ্জ্বলতাও বাড়ছে।
একটা প্রচণ্ড আতঙ্ক অ্যালোঞ্জোকে গ্রাস করে। সে ওখান থেকে ছুটে পালিয়ে যেতে চায় কিন্তু
পারে না।
পৃষ্ঠা ৩/ ৪
তারপর সে দেখলো কালো জলরাশি দু’ভাগ হয়ে গেল, আর তার মধ্যে থেকে চাঁদের আলোয় বেরিয়ে
এলো এক অপূর্ব সুন্দরী যুবতী। এই যুবতীর কাছ থেকেই সে গতরাতে ছুটে পালিয়ে গিয়েছিল।
আজও সে পালাবার চেষ্টা করল, কিন্তু তার পা দুটি যেন পাথর হয়ে গেছে। সে ঐ যুবতীর উপর
থেকে তার দৃষ্টি সরিয়ে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা করলো, কিন্তু তাও করতে পারলো না। নিজের ইচ্ছার
বিরুদ্ধে সে যুবতীর দিকে এক পা এগিয়ে গেল।
ওই মূহুর্তে অ্যালোঞ্জোর মনে জেগে উঠল জুলিয়ার মুখ।
এক মূহুর্তের জন্য মনে হল ইয়ারার মায়ার জাল ছিন্ন হয়ে গেছে। অ্যালোঞ্জো তার কোমর বন্ধি
থেকে এক হ্যাঁচকা টানে পিস্তল বের করে ইয়ারাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লো। সমগ্র অরণ্যে
গুলির শব্দের প্রতিধ্বনি ছড়িয়ে পড়ল, কিন্তু ইয়ারার কিছুই হল না। ইয়ারা নিয়তি মত দৃঢ়
শান্ত পায়ে জল থেকে অ্যালোঞ্জোর দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। তীক্ষ্ণ চিৎকার করতে করতে কয়েকটা
বন্য পাখি শুধু ডানা ঝাপটাতে ঝাপটাতে অন্য কোথাও উড়ে চলে গেল।
অ্যালোঞ্জো আবারো গুলি করলো, কিন্তু যুবতী এগিয়ে আসতেই
থাকে।
এবার অ্যালোঞ্জো তার পিস্তলের নল ধরে সেটাকে উল্টো
করে ঘুরিয়ে ধরে লাঠির মত ব্যবহারের উদ্দেশ্যে। সে নিজেই ইয়ারার দিকে এগিয়ে যায়। ইয়ারা
যেন একটু ভয় পায়, সে জলের দিকে পিছিয়ে যায়। কিন্তু অ্যালোঞ্জো তখনও তার মায়ার জাল থেকে
মুক্ত হতে পারেনি। ইয়ারা তাকে অপ্রতিহত শক্তিতে জলের ভেতরে টেনে নিতে শুরু করে। অ্যালোঞ্জোর
হাত থেকে তার পিস্তল পড়ে যায়। ছলাৎ করে জলে একটা শব্দ হয়। চাঁদের অজস্র মায়াবী রশ্মি
যেন জলাশয়ের শান্ত তরঙ্গরাশির মধ্যে ভাসতে থাকে। তার মধ্যে থেকে দুবাহু প্রসারিত করে
ইয়ারা অ্যালোঞ্জোকে ডেকে চলে আর এর সঙ্গে সে তার সুধাকণ্ঠে গান গেয়ে ওঠে।
অ্যালোঞ্জোর মনে হল সে ইয়ারার শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে
পারবে না। তার শিথিল দু’হাত নিজের শরীরের পাশে ঝুলে পড়ে।
হঠাৎ তার ডান হাতটি গিয়ে লাগে তার কোমরে বাঁধা থলির গায়ে। সঙ্গে সঙ্গে তার কি একটা
কথা মনে পড়ে যায়। সে মূহুর্তের মধ্যে থলিতে হাত ঢুকিয়ে জুলিয়ার দেওয়া শঙ্খটি বের করে
এনে নিজের কানের কাছে ধরে। অল্পক্ষণের মধ্যেই সে শুনতে পায় জুলিয়ার গান, কোমল, স্নিগ্ধ,
অপরূপ মাধুর্যে ভরা সে গান। ঐ গানের কথা ও সুর ইয়ারার গানের চাইতেও মন ভুলানো, হৃদয়
জুড়ানো।
অ্যালোঞ্জো গা ঝাড়া দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ালো। তার সব
দুর্বলতা কেটে গেছে। সে নির্ভিক চোখ মেলে চারদিকে তাকালো। কোথাও ইয়ারা নেই। শুধু মখমলের
মতো কালো রাত, আকাশের বুকে তারা ঝিলিমিলি, আর ছিল কয়েকটা রাতের পাখির গুঞ্জন।
***** সমাপ্ত *****