সারমর্ম: কুরআন এবং হাদিসের আলোকে মৌমাছির যে গুণাগুণ ও উপকারের কথা বর্ণিত হয়েছে। মোট-১ পৃষ্ঠা
মৌমাছি!
ক্ষুদ্র এই পতঙ্গ নিয়ে সরাসরি কথা বলেছেন মহান রাব্বুল আলামিন। পবিত্র কোরআন শরীফে
এই মৌমাছি নিয়ে একটি সুরা নাযিল করেছেন আল্লাহ। আরবিতে মৌমাছিকে বলা হয়- না’হল। পবিত্র কোরআনে না'হল নামে একটি সূরা অবর্তীর্ণ হয়েছে। এই সূরায় আল্লাহ
তালায় মৌমাছি সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। আল্লাহ তালায় এরশাদ করেন, ‘তোমার রব মৌমাছির অন্তরে ঈঙ্গিত দ্বারা নির্দেশ দিয়েছেন যে তুমি গৃহ
নির্মাণ কর পাহাড়, গাছ এবং মানুষের বসতবাড়িতে।’
পরের
আয়াতে আল্লাহ তালায় বলেন, ‘এরপর
প্রত্যেক ফল থেকে কিছু কিছু আহার কর অতঃপর তোমার রবের সহজ পথ অনুসরণ কর।’ মৌমাছির পেট থেকে নির্গত হয় বিভিন্ন বর্ণের পানীয় যাতে মানুষের জন্য
রয়েছে রোগের প্রতিষেধক।
আলোচ্য
আয়াত দুটিতে আল্লাহ তালায় মৌমাছির সম্পর্কে আলোচনার পাশাপাশি তাদের দ্বারা সৃষ্ট মধুর
গুণাগুণও বর্ণনা করেছেন। এমনকি এই মৌমাছির জীবনচক্র নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এতে বলা হয়
উঁচু পাহাড়ের চুঁড়া হোক, মরুপ্রান্তর হোক কিংবা কোন জনশূণ্য স্থানই হোক না কেন মৌমাছি
কখনও পথ ভুলে যায় না। যত দূরেই গমন করুক না কেন ওরা ঠিকই সরাসরি নিজের মৌচাকে এবং নিজের
বাচ্চা, ডিম ও মধুর কাছে পৌঁছে যায়।
মৌমাছি মানুষের জন্য উৎকৃষ্ট মধু আহরণ করে। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মধু খেতে খুব ভালবাসতেন। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, এক লোক রাসুল (সাঃ) এর কাছে এসে বললেন, আমার ভাইয়ের ডাইরিয়া হয়েছে। রাসুল (সাঃ) বলেন, তাকে মধু পান করিয়ে দাও। সে গেল এবং তার ভাইকে মধু পান করালো। পুনরায় সে ফিরে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসুল তার রোগ তো আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। রাসুল এবারো তাকে বললেন, যাও তাকে মধু পান করাও। সে গেল এবং পুনরায় তাকে মধু পান করালো। কিছুক্ষণ পরে লোকটি আবারো ফিরে এসে জানালো, হে রাসুল তার পায়খানা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে কোন ভাবেই থামছে না।
এরপর রাসুল তাকে বললেন, আল্লাহ সত্যবাদী এবং তোমার ভাইয়ের পেট মিথ্যাবাদী। তুমি যাও এবং তাকে আবারো মধু পান করাও। সে গেল এবং তাকে মধু পান করালো। কিছুক্ষণ পরে লোকটি এসে জানালো যে তার ভাই সম্পূর্ণরুপে সুস্থ হয়ে গেছে।
***** সমাপ্ত *****