সারমর্ম: বেড়াল হলেও এক বেড়ালীর সাধ ছিল মানুষকে বিয়ে করার, এরপর যা হল। মোট-১ পৃষ্ঠা
এক ছিল বেড়ালী। একদিন এক রূপবান যুবককে দেখে তার সাধ
হল তাকে বিয়ে করবে। কিন্তু মানুষকে বিয়ে করতে হলে তো তারও মানুষ হওয়া চাই। সে তখন প্রেমের
দেবী অ্যাফ্রোডাইটিকে প্রার্থনা জানিয়ে বলল, আমি ওই যুবককে বিয়ে করতে চাই, তুমি আমাকে
একটি সুন্দরী মেয়ে বানিয়ে দাও।
বারবার সে একই প্রার্থনা জানাতে লাগল। সন্তুষ্ট হয়ে
দেবী অ্যাফ্রোডাইটি তখন বিড়ালীকে একটি সুন্দরী মেয়ে বানিয়ে দিলেন। সুন্দরী মেয়ে হয়ে
বেড়ালী সেই যুবকের কাছে গেল। তার রূপ দেখে যুবকও মুগ্ধ হল, আর তাকে বিয়ে করতে চাইল।
মানুষরূপী বেড়ালী তখনই রাজি হয়ে গেল।
একদিন খুব ধুমধাম করে তাদের দুজনের বিয়ে হয়ে গেল।
বিয়ের পর বর-কনে শোবারঘরে এল বিশ্রাম করতে। তারা দুজনেই তখন সুখী। তাই মনের আনন্দে
খাটে বসে গল্প করতে লাগল।
এদিকে এ দৃশ্য দেখে দেবী অ্যাফ্রোডাইটির ইচ্ছে হল,
মানুষের শরীর পেয়ে বেড়ালীর মনের কতটা পরিবর্তন হয়েছে দেখবেন। তিনি গোপনে বর-কনের শোবার
ঘরে উপস্থিত হলেন। তারপর ঘরের মেঝেতে একটা ইঁদুর ছেড়ে দিলেন।
নধর পুরুষ্টু ইঁদুর ঘরের মধ্যে খেলে বেড়াচ্ছে দেখে
বেড়ালী-বধুর মন চঞ্চল হয়ে উঠল। বরের সঙ্গে গল্প করতে করতে সে কেবলই ছটফট করতে লাগল।
এক সময় লোভ সামলাতে না পেরে বিছানা থেকে ঝাঁপ দিয়ে পড়ল ইঁদুরের ওপর।
এ কাণ্ড দেখে দেবী অ্যাফ্রোডাইটি বুঝলেন, শরীর বদলালেও
বেড়ালীর স্বভাবের পরিবর্তন হয়নি। তার মানুষ হয়ে থাকা বৃথাই হবে। নিমেষের মধ্যে তিনি
বেড়ালীর আসল চেহারা ফিরিয়ে দিলেন। ঝলমলে দামী রঙিন শাড়ি তার শরীর থেকে খসে পড়ল। বেড়ালীকে
দেখে বরবেশী যুবকের কিছুই বুঝতে বাকি রইল না। সে তখনই লাঠিপেটা করে তাকে বাড়ি থেকে
তাড়াল।
নীতিকথা: দুর্জনের চেহারার পরিবর্তন ঘটলেও স্বভাব আর মনের পরিবর্তন হয় না।
***** সমাপ্ত *****