সারমর্ম: NASA এর গবেষণায় পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা সম্ভাব্য গ্রহাণু, কবে আসতে পারে, সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি ও প্রতিকার। মোট-১ পৃষ্ঠা।
সৌরজগৎ যখন সৃষ্টি হয় সেই সময়েই
তৈরি হয়েছে গ্রহাণু। পৃথিবীর আশেপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে এরকম গ্রহাণুর সংখ্যা কত সেটা সুনির্দিষ্ট
করে জানা সম্ভব নয়। তবে বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন পৃথিবীর নিকটবর্তী গ্রহাণুর সংখ্যা ১০
হাজার থেকে ১০ লাখ পর্যন্ত হতে পারে। এসব গ্রহাণুর বেশিরভাগই আকারে ছোট। প্রায় ৬ কোটি
৭ লাখ বছর আগে পৃথিবীতে আঘাত হেনেছিল একটি গ্রহাণু। এর প্রভাবে সৃষ্ট বিপর্যয়ে ডাইনোসরের
বিলুপ্তি ঘটে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের।
আবারো এমন ঘটনার আশঙ্কা করছেন মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিপদজনক এক গ্রহাণু। বিশালাকার এই গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ হতে পারে, সেই চান্স ৭২ শতাংশ। নাসার একটি অনুমানভিত্তিক পর্যালোচনায় এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে দাবি করা হয়েছে সংবাদমাধ্যম NDTV এর এক প্রতিবেদনে। NASA বলছে তারা এখনো নিশ্চিত করতে পারছেন না যে কিভাবে এই গ্রহাণুটিকে পৃথিবীর পাশ কাটিয়ে বের করা দেয়া যেতে পারে। সহজ কথায় বলতে গেলে এই গ্রহাণুকে প্রতিহত করার মত পর্যাপ্ত প্রস্তুতি এখনো নাসার নেই।
এমন অনেক গ্রহাণু যেগুলোকে আগে সনাক্ত করা যায়নি সেগুলিকে নিয়ে চর্চার জন্যই এই অনুশীলন। গ্রহাণু সম্পর্কে কিছু তথ্য পেলেও NASA জানতে পারেনি এই গ্রহাণুর গতিপথ কেমন হবে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে এই পুরো মহড়া পৃথিবীর ক্ষমতা দেখার জন্য করা হয়েছিল। ওয়াশিংটনে NASA সদর দপ্তরের গ্রহ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা লেন্ডলি জনসন বলেছেন একটি বড় গ্রহাণু বিপর্যয় হতে পারে। তবে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে NASA জানিয়েছে গ্রহাণুর আকার, গঠন এবং দীর্ঘমেয়াদী গতিপথ সঠিকভাবে নির্ধারণ করার জন্য এখুনি সব তথ্য যথেষ্ঠ নয়।
***** সমাপ্ত *****