পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে গ্রহাণু, আতঙ্কে নাসার বিজ্ঞানীরা || মহাকাশ ১

 

সারমর্ম: NASA এর গবেষণায় পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা সম্ভাব্য গ্রহাণু, কবে আসতে পারে, সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি ও প্রতিকার। মোট-১ পৃষ্ঠা।


সৌরজগৎ যখন সৃষ্টি হয় সেই সময়েই তৈরি হয়েছে গ্রহাণু। পৃথিবীর আশেপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে এরকম গ্রহাণুর সংখ্যা কত সেটা সুনির্দিষ্ট করে জানা সম্ভব নয়। তবে বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন পৃথিবীর নিকটবর্তী গ্রহাণুর সংখ্যা ১০ হাজার থেকে ১০ লাখ পর্যন্ত হতে পারে। এসব গ্রহাণুর বেশিরভাগই আকারে ছোট। প্রায় ৬ কোটি ৭ লাখ বছর আগে পৃথিবীতে আঘাত হেনেছিল একটি গ্রহাণু। এর প্রভাবে সৃষ্ট বিপর্যয়ে ডাইনোসরের বিলুপ্তি ঘটে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের।


আবারো এমন ঘটনার আশঙ্কা করছেন মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিপদজনক এক গ্রহাণু। বিশালাকার এই গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ হতে পারে, সেই চান্স ৭২ শতাংশ। নাসার একটি অনুমানভিত্তিক পর্যালোচনায় এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে দাবি করা হয়েছে সংবাদমাধ্যম NDTV এর এক প্রতিবেদনে। NASA বলছে তারা এখনো নিশ্চিত করতে পারছেন না যে কিভাবে এই গ্রহাণুটিকে পৃথিবীর পাশ কাটিয়ে বের করা দেয়া যেতে পারে। সহজ কথায় বলতে গেলে এই গ্রহাণুকে প্রতিহত করার মত পর্যাপ্ত প্রস্তুতি এখনো নাসার নেই। 



এই অজানা গ্রহাণু আগামী ১৪ বছরের মধ্যে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসতে পারে। NASA এর রিপোর্টে উল্লেখিত তারিখ অনুযায়ী গ্রহাণুর সংঘর্ষের তারিখ হতে পারে ১২ জুলাই, ২০৩৮। অর্থাৎ কিভাবে এই গ্রহাণুটির প্রতিরোধ সম্ভব তা নিয়ে বিশ্লেষণ করার জন্য হাতে রয়েছে ১৪ বছরের কিছুটা বেশি সময়। এটি ছিল নাসার ডার্ট মিশনের ডেটা ব্যবহার করার প্রথম অনুশীলন। ডার্ট হল সম্ভব্য গ্রহাণুর প্রভাব থেকে গ্রহকে রক্ষা করার জন্য একটি প্রযুক্তির প্রথম ইনস্পেস প্রদর্শন। ডার্ট এও নিশ্চিত করেছে যে গতির প্রভাবে একটি গ্রহাণু গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে।



মহাকাশ সংস্থার এক অফিশিয়াল রিপোর্ট অনুসারে এপ্রিল মাসে পঞ্চম দ্বিবার্ষিক planetary defence agency tabletalk অনুশীলন পরিচালনা করেছিল NASA। গত ২০ জুন মেরিল্যান্ডের লরেল এর জন্স হপকিন্স Applied Physics ল্যাবরেটরিতে এই অনুশীলনের সার সংক্ষেপ উন্মোচন করে সংস্থাটি। অনুশীলনে NASA ছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সরকারি সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগীদের প্রায় ১০০ জন প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত ছিল। নাসার বরাতে এই খবর প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম NDTV

এমন অনেক গ্রহাণু যেগুলোকে আগে সনাক্ত করা যায়নি সেগুলিকে নিয়ে চর্চার জন্যই এই অনুশীলন। গ্রহাণু সম্পর্কে কিছু তথ্য পেলেও NASA জানতে পারেনি এই গ্রহাণুর গতিপথ কেমন হবে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে এই পুরো মহড়া পৃথিবীর ক্ষমতা দেখার জন্য করা হয়েছিল। ওয়াশিংটনে NASA সদর দপ্তরের গ্রহ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা লেন্ডলি জনসন বলেছেন একটি বড় গ্রহাণু বিপর্যয় হতে পারে। তবে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে NASA জানিয়েছে গ্রহাণুর আকার, গঠন এবং দীর্ঘমেয়াদী গতিপথ সঠিকভাবে নির্ধারণ করার জন্য এখুনি সব তথ্য যথেষ্ঠ নয়।


***** সমাপ্ত *****

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post