অসাধু সহিস || ঈশপের গল্প ১৪

 

সারমর্ম: ঘোড়া দেখাশুনা করার কাজে নিয়োজিত এক অসাধু সহিসের দূর্নীতিমূলক কাজকর্ম। মোট-১ পৃষ্ঠা


এক আস্তাবলে অনেক ঘোড়া ছিল। তাদের দেখাশোনা করার জন্য ঘোড়ার মালিক এক সহিস নিযুক্ত করেছিল। সে নিয়মিত ঘোড়াগুলোকে দানাপানি দিত। শরীর দলাইমলাই করত। মোটকথা তার যত্নে ঘোড়াগুলোর দিন খুব ভালই কাটত। দিন দিনই তারা বেশ বলিষ্ঠ আর চকচকে হয়ে উঠতে লাগল।

কিছুদিন মনোযোগ দিয়ে কাজ করে সেই সহিস তার মনিবের মন জয় করে নিল। মনিব খুশি হয়ে তার জন্যও নানারকম সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করে দিল। সহিসটি আসলে খুব সুবিধার লোক ছিল না। ঢালাও আরাম-বিরামের সুবিধা দেখে তার মাথায় দুষ্টবুদ্ধি ভর করল। সে করল কী, প্রতিদিন ঘোড়াগুলোর খাবারের অর্ধেক চুরি করে বাজারে বিক্রি করে দিতে লাগল। ফল হল, আধপেটা খাবার পেয়ে দিন দিনই ঘোড়াগুলো দুর্বল হয়ে পড়তে লাগল। আর দুর্বলতার জন্য তাদের শরীরের চাকচিক্যও মলিন হয়ে পড়ল।

খাবার হাত সাফাই করলেও ঘোড়াদের শরীরের চকচকে ভাব বজায় রাখার জন্য সহিসটি কিন্তু তাদের নিয়মিত দলাইমলাইয়ের কাজে অবহেলা করত না। বরং আগের চেয়ে সে কাজটা করত আরও বেশি সময় ধরে।

পেটের খাবার কমে গিয়ে বেড়ে গেল শরীর মালিশের কাজ। ফলে দুর্বল শরীরে ঘোড়াগুলোর খুবই কষ্ট হতে লাগল।

মালিশের ধকল সইতে না পেরে একদিন এক ঘোড়া সহিসকে ডেকে বলল, ভাই, আমাদের সবল ও সুশ্রী করতে হলে পেটভরে খাবার দাও আধপেটা খাবার দিয়ে কেবল মালিশ আর মাজাঘষা করলে আমাদের শরীর কখনই চকচকে হবে না।


নীতিকথা: পেটে খেলে পিঠে সয়। অর্থাৎ (কেউ খাইতে দিলে, মারলেও তা হজম করা যায় কিন্তু যে খাইতে দেয় না, তার মার হজম করা কঠিন)।


***** সমাপ্ত *****

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post