সারমর্ম: সাপ যেভাবে চাষীর শত্রুতে পরিণত হল। মোট-১ পৃষ্ঠা
এক চাষী ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে কাজ করছিল। এমন সময়
কালকেউটে তার গর্ত থেকে বেরিয়ে ছোবল মারল ছেলেটির পায়ে। বিষের জ্বালায় ছট্ফট করতে করতে
সে কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা গেল।
ছেলের শোকে পাগল হয়ে চাষী কুঠার হাতে ছুটল সাপকে মারতে।
সাপ তো ছোবল মেরেই ছুটে গিয়ে গর্তে ঢুকেছে। চাষী এসে
গর্তের কাছে কুঠার উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে রইল।
বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর চাষী দেখল, সাপ গর্তের
বাইরে মাথা বের করেছে। সঙ্গে সঙ্গে সে কুঠার দাপিয়ে মারল কোপ। কিন্তু কুঠারের ঘা সাপের
মাথায় না পড়ে পড়ল পাথরের গায়ে। সাপও সঙ্গে সঙ্গে সুড়ুৎ করে ঢুকে গেল গর্তের ভেতরে।
চাষী বুঝতে পারল গর্তবাসী সাপকে মারা সহজ কাজ নয়।
এদিকে সাপ রেগে থাকলেও মুশকিল। কোন ফাঁকে আবার ছোবল মেরে কী বিপদ ঘটায়।
চিন্তা ভাবনা করে চাষী স্থির করল, নিরাপদে ক্ষেতের
কাজ করতে হলে সাপের সঙ্গে শত্রুতা করে লাভ নেই। বরং ভাব থাকলে সাপ ক্ষতি করবে না।
চাষী তখন গর্তের কাছে নিচু হয়ে বসে সাপকে ডেকে বলল,
ওহে ভাই সাপ, এসো, আমরা নিজেদের ঝগড়া-বিবাদ মিটিয়ে ফেলি। যা হবার হয়েছে। এখন থেকে আমরা
বন্ধুর মত থাকব।
চাষীর কথা শুনে গর্তের ভেতর থেকেই সাপ বলল, না হে,
তোমার সঙ্গে বন্ধুত্ব পাকাতে আমি রাজি নই। আমাদের বিবাদটা হল রক্তের।
কালকেউটে আরও বলল, আর সব কিছু ভুলে গেলেও ছেলের শোক
তুমি কোন দিন ভুলতে পারবে না। ছেলের-কবর যখন তোমার চোখে পড়বে, তখন বন্ধুত্বের কথা আর
তোমার মনে থাকবে না। আমাদের এ রক্তের শক্রতা ঘুচবার নয়।
নীতিকথা: জাতিগত শত্রুতা যার সঙ্গে সে কখনও বন্ধু হয় না।
***** সমাপ্ত *****