একচক্ষু হরিণ || ঈশপের গল্প ২০

 

সারমর্ম: একচোখা হরিণটি শিকারির হাত থেকে বাঁচার জন্য যে সতর্কতা অবলম্বন করেছিল আর ফলাফলে যা হল। মোট-১ পৃষ্ঠা


এক যে ছিল হরিণ। তার একটা চোখ ছিল কানা। তাই খুব সতর্ক হয়ে তাকে থাকতে হত। খোলা মাঠে সে চরতে যেত না। এক চোখ দেখতে পায় না বলে সব দিকে নজর যেত না। সে তাই বু্দ্ধি করে নদীর ধারেই ঘাস খেতে যেত।

সেখানে একদিকে নদী আর একদিকে ডাঙা। ডাঙার দিক থেকেই শত্রু আসার ভয়। তাই কানা হরিণ খারাপ চোখটি নদীর দিকে রেখে, ভাল চোখে ডাঙার দিকে নজর রাখত। এমনি করে নিশ্চিন্ত হয়ে সে ঘাস খেয়ে বেড়াত।

একদিন এক শিকারী নদী পথে নৌকা বেয়ে চলেছে। মন্দ চোখটা নদীর দিকে থাকায় হরিণ তাকে দেখতে পেল না। শিকারী কিন্তু দূর থেকে হরিণকে দেখতে পেল। সে তীরের দিকে এগিয়ে তার ধনুকে তীর জুড়ল। তারপর সেই তীর ছুঁড়ে দিল হরিণকে নিশানা করে।

বুকে তীর বিঁধে মাটিতে পড়ে ছটফট করতে লাগল হরিণ। সেই সময় নদীতে নৌকার ওপর শিকারী দেখে সে কাঁদতে লাগল। আর বলতে লাগল, হায়, যেদিক থেকে বিপদ আসবে না ভেবে নিশ্চিন্ত ছিলাম, সেদিক থেকেই শক্র এসে আমাকে মারল। ধিক আমার বুদ্ধি।


নীতিকথা: নিরাপদ ভেবে আমরা যেদিকে নজর করি না অনেক সময় বিপদ সেই দিক থেকেই আসে। অথবা, বিপদ সব সময় দিক ঠিক করে আসে না।


***** সমাপ্ত *****

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post