মালি ও তার বাগান || ঈশপের গল্প ৩

সারমর্ম: মালির বাগান ও প্রকৃতির বাগান এই দুই বাগানের মধ্যে কোনটি সবচেয়ে সুন্দর তাই জানা যাবে এ গল্পে। মোট-১ পৃষ্ঠা


এক গ্রামে রাস্তার ধারে সুন্দর একটি বাগান ছিল। বাগানের মালি তার বাগানের গাছগুলোর নিয়মিত পরিচর্যা করত। সেই বাগানের পাশ দিয়ে প্রতিদিন এক পথিক যাওয়া আসা করত। ক্লান্ত পথিক বাগানে প্রায়ই খানিক সময়ের জন্য বিশ্রাম নিত। কয়েকদিন যাবত পথিক লক্ষ করল যে, বাগানের যেই গাছগুলো খোলা জায়গায় পড়ে রয়েছে মালি সেই গাছগুলোর তেমন কোন পরিচর্যায় করে না কিন্তু তা সত্ত্বেও সেই গাছগুলো অনেকটাই সতেজ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

কিন্তু মালি যেই গাছগুলোর খুব বেশী পরিচর্যা করে সেই গাছগুলোর অবস্থান টবের মধ্যে আর সেগুলো ছাদের নীচে রাখা আছে এবং গাছগুলো অনেকটাই চুপসে মৃতপ্রায় হয়ে আছে। 

তো একদিন পথিক যথারীতি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বাগানের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য উপভোগ করছিল। সে বাগানের গাছপালা দেখতে দেখতে মালিকে ডেকে বলল, আচ্ছা ভাই, তোমাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করি। বাগানে ঐ বুনো গাছগুলো কেমন সবুজ আর সতেজ। কিন্তু তোমার যত্ন পেয়ে বেড়ে ওঠা গাছগুলো তেমন সতেজ নয়। এমন হওয়ার কারণটা কি?

মালি হেসে পথিককে বলল, আরে ভাই, বুঝতে পারছেন না, বুনো গাছগাছালির মা হলেন স্বয়ং প্রকৃতির রানী। তারা সবাই মায়ের যত্নে বেড়ে ওঠা গাছ। তারা মায়ের কাছে মাটি, বাতাস, পানি খাদ্য সবই সময় মত পায়। কিন্তু আমার হাতে বেড়ে ওঠা গাছগুলো মায়ের আদর থেকে অনেকটাই বঞ্চিত। আর মায়ের আদরের অভাবেই তাদের এই অবস্থা।

নীতিকথা: মায়ের স্নেহভালবাসার কাছে পৃথিবীর সব ভালবাসাই তুচ্ছ।

          

***** সমাপ্ত *****

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post