অনলাইনে এই ৫টি কাজের যেকোন একটি ভালভাবে করতে পারলে মাসে ১ থেকে ২ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব || অনলাইনে আয় ১

সারমর্ম: অনলাইনে যে ৫টি কাজের মাধ্যমে অল্পসময়ে সহজেই আয় করা সম্ভব তাদের পরিচিতি। মোট-৭ পৃষ্ঠা


ধরুন আপনাকে দুইটি রাস্তার সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়া হল। একটা রাস্তা দিয়ে টাকা ভর্তি সমুদ্রের কাছে যাওয়া যায়, আর অপর রাস্তাটি দিয়ে টাকা ভর্তি পুকুরের কাছে যাওয়া যায়। তাহলে আপনি কোন রাস্তাটা দিয়ে যেতে চাইবেন।

এক্ষেত্রে আপনি যদি বোকা না হন তাহলে আপনি নিশ্চয়ই টাকা ভর্তি সমুদ্রের রাস্তাটির দিকে যেতে চাইবেন। কিন্তু বাস্তবে আপনি হাঁটছেন এই পুকুরের রাস্তাটি দিয়ে। শুধু আপনি নন আমাদের মধ্যে শতকরা ১০০ জন মানুষের মধ্যে শতকরা ৯৯ জন মানুষই এই রাস্তাটি দিয়ে হাঁটছে। এবং সামান্য একটা পুকুর থেকে সবাই মিলে টাকা তোলার জন্য কাড়াকাড়ি করছে। অথচ পাশের রাস্তাটায় টাকা তোলার মানুষের সংখ্যা খুবই সামান্য আর টাকার পরিমাণও অনেক বেশি।

আমরা অধিকাংশ মানুষই চাই পড়াশুনা করে বড় হয়ে একটা চাকুরি করতে করতে। আর যাদের বাবার টাকা আছে তারা চায় ব্যবসা করতে। কিন্তু কি লাভ এই সামান্য কয়েকটা টাকার জন্য জীবনের অর্ধেকটা সময়ই চাকুরির পেছনে দৌঁড়িয়ে বেকার বসে থাকার। বিষয়টা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে আমরা সবাই লাইন দিয়ে চাকুরির পেছনে ছুটছি। অথচ পৃথিবীতে এখন বর্তমান সময়ে এমন অনেক কাজ আছে যে কাজগুলো করে আপনি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন। সেই উপায়গুলো আমাদের আশেপাশেই ঘোরাফেরা করে, আমরা প্রতিদিন সেগুলো ব্যবহারও করি। তারপরও আমরা বুঝতে পারি না যে এগুলোকে কাজে লাগিয়ে আমরা মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পারবো।

আমি কি বলতে চাচ্ছি হয়তোবা আপনি বুঝতে পারছেন না। সমস্যা নেই লেখাটা পুরোপুরি পড়তে থাকুন ধীরে ধীরে বুঝিয়ে বলছি।

চলুন আপনাকে কয়েকটা ছবি দেখাই

 



আচ্ছা বলুনতো উপরের এই ৫টি ছবির দাম কত হতে পারে। অনুমান করুন কত হতে পারে। ৫ হাজার, ১০ হাজার নাকি ৫০ হাজার। আচ্ছা ধরুন এই পাঁচটি ছবির দাম এক লক্ষ টাকা। কিন্তু বাস্তবতা কি জানেন, ছবিগুলোর মালিক অনলাইনে এই পাঁচটি ছবি বিক্রয় করে এখন পর্যন্ত সর্বমোট ১২ হাজার ডলার আয় করেছে যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১২ লক্ষ টাকার সমান। ছবিগুলোর আয় কিন্তু এখানেই শেষ হয়ে যায়নি। ছবিগুলো এখনো বিক্রি হচ্ছে এবং যত দিন যাবে ছবিগুলো থেকে আয় তত বৃদ্ধি পেতেই থাকবে।

আচ্ছা আপনার কি বিশ্বাস হয় যে আপনি কোন একটা কাজ শুরু করেছেন যা মাত্র ৩ বছর হল। এই ৩ বছরের মধ্যে ঐ কাজের আয় দিয়ে বাড়ি, গাড়ি, জমি সব কিনে ফেলেছেন। তার উপর ঐ কাজে আপনার বর্তমানে মাসিক আয় ১ থেকে ২ লক্ষ টাকা। আবার মাঝে মাঝে কোন মাসে ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করছেন। বিশ্বাস না হলে এটাই বাস্তব। আর আপনার মাধ্যমেও এমন কাজ করা সম্ভব।


পৃষ্ঠা ১


 

বিষয়টা আপনার ধরাছোয়ার বাহিরে হলেও অনেকের কাছেই এটা পান্তা ভাতের মত সহজ। তাই আজ আমি এই লেখায় এমন ৫টি কাজ নিয়ে আলোচনা করবো যে কাজগুলোতে দক্ষ হলে আপনিও হয়তো মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করাদের একজন হতে পারবেন। কথা দিচ্ছি এই ৫টি কাজের মধ্যে যে কোন একটি কাজও যদি আপনি করতে পারেন তাহলে আপনি প্রতিমাসে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

কিন্তু এখানে একটা শর্ত আছে। শর্তটা হচ্ছে সময়, সময় আর সময়। এখানে আপনাকে প্রচুর সময় ব্যয় করতে হবে। যত বেশি সময় দিবেন তত বেশি টাকা আসবে। এখানে খেলাটাই হচ্ছে সময় আর skill এর। তাহলে এবার চলুন সেই ৫টি কাজের সম্বন্ধে জেনে নেয়া যাক যেই কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে টাকার খনি। আপনি যত মন চায় তত টাকা আয় করতে পারবেন।

১ম কাজটি হচ্ছে ফটোগ্রাফি। ফটোগ্রাফি মানে হচ্ছে ছবি তোলাটাকে প্রফেশন হিসেবে নেয়া। এখানে আমি দুই তিনশ টাকার ছবি তোলার কথা বলছি না, হাজার হাজার ডলারের কথা বলছি। ফটোগ্রাফি বর্তমান ২০২৩ সালে আধুনিক বিশ্বে এমন একটা পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে যে আপনি আপনার প্রতিদিনের ছবি তোলার নেশাটাকে কাজে লাগিয়ে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবেন। যে কোন কিছুর ছবি তুলে আপনি ইনকম করতে পারবেন। কিভাবে ইনকাম করবেন সেটা বলছি, কোথায় কিভাবে কাজ করবেন তাও বলছি তার আগে ছবি তোলার বিষয়টা কিভাবে টাকা ইনকামের ক্ষেত্রে কাজ করে সেটা আগে বলি।

 


ধরুন আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন অথবা ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার একটা ক্যামেরা দিয়ে আপনার আশেপাশের এলাকার বিভিন্ন জিনিসের এক হাজার ছবি তুললেন। সেখানে থেকে বাছাই করে কিছু unique ও সুন্দর ২০০টি ছবি একটা ওয়েবসাইটে আপলোড করলেন। যে ওয়েবসাইটে মূলত ছবি কেনাবেচা হয়। ছবিগুলো আপলোড করে আপনি দাম নির্ধারণ করে দিলেন যে প্রতিটি ছবি ডাউনলোডের জন্য আপনাকে $0.25 ডলার দিতে হবে। যার বর্তমান বাংলাদেশি মূল্য ২৬ টাকা। এটা মূলত ওয়েবসাইটের সর্বনিম্ন রেট। এর থেকে কম টাকা দিয়ে কেউ ছবি ডাউনলোড করতে পারবে না। এখন প্রতিদিন যদি আপনার এই দুইশত ছবি থেকে একশত ছবি ডাউনলোড হয় তাহলে আপনার প্রতিদিন ইনকাম দাঁড়ায় ২৫ ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় হয় প্রায় ২৫০০ টাকা। মাস শেষে ইনকাম দাঁড়ায় ২৫০০×৩০ = ৭৫,০০০ টাকা। এটাতো বলছি শুরুর দিকের ইনকাম। যদি আপনার ছবির পরিমাণ এক বা দুই হাজার হয় তাহলে মিনিমাম প্রতিদিন আপনার ৪০০ থেকে ৬০০ ছবি ডাউনলোড হবে। আর ইনকাম দাঁড়াবে এর থেকে দুই তিন গুণ বেশি।


পৃষ্ঠা ২


 

আপনি যখন ধীরে ধীরে কাজ করতে থাকবেন আপনার অভিজ্ঞতা বাড়তে থাকবে তখন আপনার ছবির মান বা quality ও দিন দিন বাড়বে এবং ছবির মূল্যও বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া আপনি একই ছবি আরো ৫ থেকে ৬টা ওয়েবসাইটে দিয়েও ইনকাম করতে পারবেন।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে এই ছবিগুলো কিনে কারা? এই ছবিগুলো মূলত যারা ওয়েডিং প্রজেক্টর অথবা ফ্লিমোগ্রাফী নিয়ে কাজ করে ক্রয় করে। আবার কন্টেন্ট রাইটিং ভিডিও মেকিং business প্রজেক্ট ছাড়াও আরো অনেক কাজে প্রচুর পরিমাণে ছবির প্রয়োজন হয়। তারা মূলত এই ছবিগুলো ওয়েবসাইট থেকে কিনে তাদের নানা ধরনের প্রজেক্টে কাজে লাগায়। দেখা যায় তারা ওয়েবসাইট থেকে ৫ থেকে ১০ ডলার খরচ করে এই ছবিগুলো কিনে তাদের ৫০০ থেকে হাজার ডলারের প্রজেক্টে ছবিগুলো কাজে লাগাচ্ছে। এই ছবিগুলো সাধারণত বাহিরের দেশের লোকেরা কিনে থাকে যেমন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, কানাডা, ইংল্যান্ড, অষ্ট্রেলিয়া ইত্যাদি দেশের মানুষ।

যাইহোক, এখন আসা যাক আপনি এই কাজটি কিভাবে করবেন, কোথা থেকে শুরু করবেন এবং কি কি লাগবে। প্রথমেই আপনার ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে একটা মোবাইল ফোন লাগবে অথবা একটা ক্যামেরা লাগবে। তারপর আপনাকে Youtube থেকে ফ্রীতে শিখতে হবে যে কিভাবে কোন কোন টিপসগুলোকে কাজে লাগিয়ে ভালো ছবি তোলা যায়। আপনি যদি ইউটিউবে “ভাল ছবি তোলার কৌশল” এই লেখাটি লিখে সার্চ করেন তাহলে অনেক ধরনের ভিডিও পেয়ে যাবেন। সেই ভিডিওগুলো দেখে শিখতে পারবেন। তারপর ছবিগুলো ভালভাবে edit করে ওয়েবসাইটে আপলোড করে দিবেন। ছবি থেকে টাকা আয়ের জনপ্রিয় কিছু ওয়েবসাইট হচ্ছে ‍shutterstock.com, istockphoto.com, alamy.com, canstockphoto.comadobestock.com। এই ওয়েবসাইটগুলোতে একাউন্ট খুলে আপনারা আজ থেকেই কাজ শুরু করে দিতে পারেন। তবে আমি বলবো আপনারা এখনই এই ওয়েবসাইটগুলোতে একাউন্ট খুলতে যাবেন না। প্রথমদিকে আপনাকে আগে ছবি নিয়ে কাজ করতে হবে। ছবি তোলা শিখতে হবে, ছবি কিভাবে ভাল করা যায় সেই সম্পর্কে জানতে হবে। তারপর যখন আপনার স্টকে ভাল পরিমানে ছবি জমা হবে তখন আপনি একাউন্ট খুলে ছবিগুলো আপলোড করতে থাকবেন। তাহলে আপনার একাউন্টটি খুব দ্রুত গ্রো হতে থাকবে। ওয়েবসাইটগুলোতে একাউন্ট খোলাটা খুবই সহজ। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে আপনারা youtube এবং google থেকে সহায়তা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ একাউন্ট খুলতে পারবেন।

 

দ্বিতীয় যে কাজটির মধ্যে টাকার খনি আছে সেই কাজটি হচ্ছে ওয়েব ডেভলপিং। ওয়েব ডেভলপিংকে শুধু টাকার খনিই নং বরং গোল্ড এর খনিও বলতে পারেন। যদি আপনি ভাল মানের ওয়েব ডেভলপার হতে পারেন তাহলে মাসে নয় বরং দিনেই আপনি ২০০ ডলার আয় করতে পারবেন।


পৃষ্ঠা ৩


 

ওয়েব ডেভলপিং সেক্টরটা পুরো ফাঁকা হয়ে আছে। সামান্য কিছু হাতেগোনা মানুষ এখানে কাজ করে। ওয়েব ডেভলপিং এর কাজটা একটু কঠিন কিন্তু কাজটি একটু কষ্ট করে সময় দিয়ে শিখতে পারলে পুরো লাইফ সেট হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। ওয়েব ডেভলপিং এর একটা কাজের জন্য ডেভলপার কে সর্বনিম্ন ১০০ থেকে ৬০০ ডলার দিতে হয়।

 

 

আপনি যদি ভাল মানের একজন ওয়েব ডেভলপার হতে পারেন তাহলে এক সপ্তাহেই আপনি ৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। আর মাসে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা। ওয়েব ডেভলপার হওয়ার জন্য সর্বপ্রথম আপনার একটা কম্পিউটার প্রয়োজন হবে। কম্পিউটার সম্পর্কে ভাল জ্ঞান থাকতে হবে। আর যদি কম্পিউটার সম্পর্কে কোন জ্ঞান নাও থাকে তাহলেও সমস্যা নেই। কারন আপনাকে কম্পিউটার সম্পর্কে দক্ষ করার জন্য বাংলাদেশে বেশ কিছু আইটি ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে। তারা আপনাকে হাতে ধরে শিখিয়ে দিবে। এক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে সময় দিতে হবে ৩ থেকে ৬ মাস এবং কিছু টাকা খরচ করতে হবে কাজগুলো শেখার জন্য। আমাদের দেশে বেশ কিছু ভাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে যারা মূলত এই কাজগুলো শেখায়। যতক্ষন পর্যন্ত আপনি ইনকাম করতে না পারছেন ততক্ষণ পর্যন্ত তারা আপনাকে শেখাবে। নানা ধরনের সাপোর্ট ও গাইডলাইন দিবে। বাংলাদেশের কিছু ভাল মানের আইটি ইনস্টিটিউট হচ্ছে SunnahIT Institute, Creative IT Institute, CodersTrust, UY Lab, DaffodilInternational Professional Training Institute, BASIS Institute of Technology & Management ইত্যাদি। আপনি এসব প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে ঘুরে আসতে পারেন। তাহলে আপনি জানতে পারবেন যে আপনার একজন ওয়েব ডেভলপার হওয়ার জন্য কত টাকা খরচ হতে পারে।

 

তৃতীয় যে কাজটির মধ্যে টাকার খনি আছে সেটি হচ্ছে ভিডিও এডিটিং। ভিডিও এডিটিং এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইন্টারনেট দুনিয়ায় একজন ভাল মানের ভিডিও এডিটরের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

 

 

ভিডিও এডিটরদের ভবিষ্যত নিশ্চিতভাবে উজ্জল। কারন ভবিষ্যতে সকল কাজের জন্য ভিডিও মার্কেটিং খুব বেশি গুরুত্ব পাবে। সব বড় বড় কোম্পানীগুলো চাইবে তাদের মার্কেটিং ভিডিওর মাধ্যমে করতে। একারনে যখন তারা ভাল মানের ভিডিও তৈরি করতে চাইবে তখন তাদের একজন ভিডিও এডিটরের প্রয়োজন হবে। আর ভালো মানের ভিডিও এডিটর বাংলাদেশে খুব সামান্য পরিমানে রয়েছে। সারা বিশ্বে ভিডিও এডিটরের চাহিদা অনেক বেশি। তার উপর আবার Youtube এ যেভাবে দিন দিন viewers এর সংখ্যা বাড়ছে তাতে অন্য কোনকিছু না করেও শুধুমাত্র ভিডিও বানিয়ে মাসে দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব। আবার ফেসবুক থেকেও এখন বর্তমানে ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করা যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট যেমন fiverr.com, upwork.com, freelancer.com, guru.com এসব ফ্রীল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলোতে বাহিরের দেশের বায়ারদের ভিডিং এডিট করে প্রচুর পরিমানে টাকা আয় করা যায় এবং অনেকেই করছে।


পৃষ্ঠা ৪


 

সুতারাং বুঝতেই পারছেন ভিডিং এডিটিং এর মাধ্যমে আপনি কি পরিমান টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তবে সবার আগে আপনাকে একজন ভালো মানের ভিডিও এডিটর হতে হবে।

ভিডিও এডিটিং এর জন্য আপনার একটি ভালো মানের কম্পিউটারের প্রয়োজন হবে। শুরুতেই ভালো মানের কম্পিউটার না পেলেও মোটামুটি মানের একটি কম্পিউটার দিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন। পরবর্তীতে যখন আপনার আয় শুরু হবে তখন একটা ভালো মানের কম্পিউটার কিনে নিতে পারেন। তো দেরি না করে শুরুর দিকে আপনি হাতের কাছে যা আছে তাই দিয়েই চেষ্টা করতে পারেন এমনকি আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি দিয়েও শুরু করতে পারেন। মোবাইলফোনে ভিডিও এডিটিং এর জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় এ্যাপসগুলো হচ্ছে kinemaster, inshot, VivaVideo, filmora, vivacut, capcut ইত্যাদি। মোবাইল ফোনে ভিডিও এডিটিং এর ক্ষেত্রে এই apps গুলো আপনাকে আয়ত্ত্ব করতে হবে এবং এগুলো দিয়েই বিভিন্ন ধরনের ভিডিও এডিটিং করতে হবে। এই এ্যাপসগুলো দিয়ে কিভাবে ভিডিও এডিট করা যায় তা Youtube এ সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। Youtube থেকে শিখে শিখে আপনি প্রথমেই মোবাইল ফোনের ভিডিওটা আয়ত্ত্ব করতে পারেন। তারপর ভালভাবে কাজ করার জন্য আপনাকে একটা কম্পিউটারের প্রয়োজন হবে। কম্পিউটারের কাজ না করলে আপনি মাষ্টার লেভেলের ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন না।

কম্পিউটারে যে সফ্যটওয়্যারগুলো দিয়ে ভিডিও এডিটিং করা হয় সেইগুলোর সাথে আপনাকে ভালভাবে পরিচিত হতে হবে। যেমন camtasia, filmora, adobe premiere pro, adobe after effect ইত্যাদি। এছাড়াও আপনি ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য কোন প্রফেশনার কোর্স করতে পারেন। তারা আপনাকে হাতে কলমে শিখিয়ে দিবে। কিভাবে কাজ করবেন, কোথায় কাজ পাবেন ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়গুলো তারা আপনাকে শিখিয়ে দিবে। তবে শুরুতেই টাকা খরচ করে কোর্স না করে বরং Youtube থেকে দেখে দেখে আপনি ফ্রীতেই basic জিনিসগুলো খুব ভালোভাবে শিখে নিতে পারেন।

একজন দক্ষ ভিডিও এডিটর upwork, fiverr, freelancer ইত্যাদি ফ্রীল্যান্সিং সাইটগুলোতে ভিডিও এডিটিং এর একটা কাজের জন্য সাধারণত ৬০০ থেকে এক হাজার ডলার চার্জ করে থাকে। তবে ছোট ছোট কাজগুলোর জন্য ভিডিও এডিটররা সাধারণত ৫০ থেকে ২০০ ডলার পর্যন্ত চার্জ করে থাকে।

সুতারাং বুঝতেই পারছেন ভিডিও এডিটিং এর ভবিষ্যত কতটা ভালো। তাই চাইলে আপনি ভিডিং এডিটিং এর উপরেও আপনার ভবিষ্যত ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করতে পারেন।

চতুর্থ কাজটি হচ্ছে ট্রেডিং। আমি ভিডিওতে যে ৫টি কাজের কথা বলেছি তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকা ইনকাম করা যায় এই ট্রেডিং থেকে। বাকী ৪টি কাজের টাকা একসাথে করলেও এই ট্রেডিং এর ইনকামের সমান হবে না।


পৃষ্ঠা ৫


 

আপনি যদি প্রফেশনাল লেভেলের একজন ট্রেডার হতে পারেন তাহলে এক ঘন্টায় এক হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবেন। অথবা এক মিনিটে ১০০ ডলার কামাতে পারবেন। তবে এখানে কয়েকটা শর্ত বা বিষয় রয়েছে যা আপনাকে ট্রেডিং শুরু করার আগে জানা প্রয়োজন।

 

 

প্রথম বিষয়টি হচ্ছে মিনিমাম ৬ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত সময় ব্যয় করতে হবে।

দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে ভালো মানের একটা কম্পিউটার লাগবে।

তৃতীয় বিষয়টি হচ্ছে ভালোভাবে ট্রেডিং না শিখে শুরু করলে এক টাকাও ইনকাম করতে পারবেন না। বরঞ্চ আপনার আরো টাকা ক্ষতি হবে।

আর চতুর্থ বিষয়টা হচ্ছে ধর্মীয়। ইসলাম ধর্মের অনেক স্কলাররা বলে থাকেন যে ট্রেডিং করাটা হারাম। আবার অনেকেই বলে থাকেন এটা একেবারেই হারাম না, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ট্রেডিং করা জায়েজ আছে। তবে এটা হালাল না হারাম এবিষয়ে অনেক মতবাদ আছে। আপনার যদি মনে হয় যে ট্রেডিং করাটা হারাম তাহলে আপনি ট্রেডিং নাও করতে পারেন। আমার মতে মুসলিম ধর্মের লোকেদের ট্রেডিং না করাটাই ভালো। তবে যারা অন্য ধর্মাবলম্বী রয়েছে যেমন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান তারা ট্রেডিং শিখতে পারেন। বিনামূল্যে সহজে ট্রেডিং শেখার জন্য আপনি Youtube কে ব্যবহার করতে পারেন। Youtube এ ট্রেডিং শেখার জন্য অনেক ভালো মানের ভিডিও রয়েছে। এই ভিডিওগুলো আপনাকে সঠিকভাবে গাইডলাইন দিবে যে কিভাবে স্টেপ বাই স্টেপ আপনি ট্রেডিং শিখতে পারেন এবং ট্রেডিং শেখার জন্য আপনার কত টাকা খরচ হতে পারে, কতদিন সময় লাগতে পারে ইত্যাদি।

তবে সবচেয়ে বড় কথা বাকী সবগুলো কাজের মত এই ট্রেডিংয়েও আপনাকে প্রচুর পরিমানে সময় দিতে হবে।

আর পঞ্চম আর সর্বশেষ হচ্ছে youtube.com। Youtube বর্তমান সময়ে এমন একটি প্লাটফর্ম যে প্লাটফর্মটিকে কাজে লাগিয়ে আপনি মাসে ১০ হাজার থেকে ৫০ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

 

 

এখন আপনি হয়তো ভাবছেন আমিতো কিছুই জানিনা। ইউটিউবে কিভাবে কাজ করে, কিভাবে কনটেন্ট তৈরি করতে হয়, কিভাবে Youtube এর জন্য ভিডিও বানাবো অথবা সবচেয়ে বড় প্রশ্ন যেটা যে কি নিয়ে ভিডিও বানাবো। তাহলে আপনি আমার পরবর্তী লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

দেখুন আমি বিশ্বাস করি আমাদের মহান সৃষ্টিকর্তা যিনি আমাদের এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন তিনি প্রত্যেক মানুষকেই কিছু না কিছু স্বতন্ত্র ক্ষমতা দিয়ে পাঠিয়েছেন। যেমন কোন একটা বিষয় যেটা আপনি সবচেয়ে ভালো পারেন অন্য কেউ সেটা আপনার মত করে পারেনা। আর আপনার এই স্বতন্ত্র ক্ষমতাটিই হতে পারে আপনার Youtube এর ভিডিও কনটেন্ট এর টপিক।

যেমন আপনি গান গাইতে পারেন অথবা ছবি আঁকতে পারেন, খেলাধুলা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান আছে আবার হতে পারে আপনি বই পড়তে ভালোবাসেন। হতে পারে আপনি সাইক্লিং করতে ভালোবাসেন আবার মটরসাইকেল চালানোও আপনার সখ হতে পারে। আর এই সখ থেকেই আপনি মাসে ১ থেকে ২ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন।


পৃষ্ঠা ৬


 

এখন মানুষ ভ্রমণ করে মাসে ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করছে। এতে একদিকে যেমন ভ্রমণ করা হচ্ছে আবার অন্যদিকে টাকাও ইনকাম হচ্ছে। আবার অনেকেই মাছ কাটা, গরু মুরগির মাংস কাটা তারপর ঝালমুড়ি বানানো অথবা আরো বিভিন্ন ধরনের জায়গায় ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন ধরনের বিষয়গুলো মোবাইলে রেকর্ড করে Youtube থেকে টাকা আয় করছে। আবার অনেকে রেষ্টুরেন্টে খেয়েও মাসে লক্ষ টাকা আয় করছে।

সব থেকে বড় কথা হচ্ছে আপনি আপনার পছন্দের বিষয়টাকে কাজে লাগিয়ে ভিডিও তৈরি করুন। টাকা ইনকাম করাটা সময়ের ব্যপার মাত্র। এছাড়াও আপনি মোবাইল ফোনে গেম খেলেও মাসে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। যেটাকে গেমিং বলা হয়। তো আর সময় নষ্ট না করে আপনার পছন্দের বিষয়টি নিয়ে আজ থেকেই Youtube এ কাজ শুরু করে দিন।

এই ছিল অনলাইনের ৫টি সেক্টর যেগুলো আলাদিনের জাদুর চেরাগের মতই আপনার ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিতে পারে। তো আর দেরি কেন! ৫টি বিষয়ের যে কোন একটিকে বাছাই করে আজ থেকেই কাজে লেগে পরুন। আর লেখাটি ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধুদের মাঝেও শেয়ার করুন যাতে তারাও উৎসাহ পায়। 

            

***** সমাপ্ত ***** 

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post